বঙ্গদেশ ডেস্ক: বলা হয়ে থাকে বাঙ্গালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ। কিন্তু ইসলামিক বাংলাদেশের হিন্দুদের কপালে সেই সুখ নেই। কারণ পূজাপার্বণ মানেই জিহাদী আগ্রাসনের আতঙ্ক তাদের কাছে। প্রতিটি পূজাতেই ইসলামিক বাংলাদেশের কোথাও না কোথাও প্রতিমা ভাঙচুর করে জিহাদীরা। এই সরস্বতী পূজাতেও বাদ যায়নি। সরস্বতী পূজা শুরুও হয়নি, কিন্তু জিহাদীরা তার আগেই দেবী সরস্বতীর প্রতিমা ভাঙচুর করলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। দেবী প্রতিমাটি নির্মাণাধীন ছিল। কিন্তু জিহাদীদের কাছে নির্মাণাধীন হোক বা না হোক, প্রতিমা মানেই তাদের কাছে ভাঙচুর করা কর্তব্য।
ঘটনাস্থল ইসলামিক বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর। নাসিরনগরের কুটই গ্রামে প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরেও চলছিল সরস্বতী পূজার প্রস্তুতি। গ্রামের সরস্বতী প্রতিমাটি তৈরীর কাজ করছিল এক মৃৎশিল্পী, কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। কিন্তু পূজার আনন্দ তার আগেই মাটি করে দিয়েছে স্থানীয় জিহাদীরা। গত পরশুদিন রাতে তারা নির্মাণাধীন প্রতিমাটির ওপর হামলা চালায় এবং প্রতিমাটি ভাঙচুর করে। তারা সরস্বতী প্রতিমার বিভিন্ন অংশ ভেঙে রেখে দিয়ে যায়। এদিকে পূজার মাত্র একদিন আগে প্রতিমা ভেঙে দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে স্থানীয় হিন্দুরা।
গতকাল সকালে ওই মৃৎশিল্পী নির্মাণাধীন প্রতিমাটির কাজ শেষ করার জন্য নির্মাণের স্থানে গিয়ে দেখতে পান জিহাদীরা প্রতিমাটি ভাঙচুর করে রেখে গিয়েছে। তিনি স্থানীয় হিন্দুদের খবর দেন এবং তারা ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন। হিন্দুরা পুলিশে খবর দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করলে সরকার দলীয় অর্থাৎ স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামিলীগ নেতারা ঘটনাটিকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং স্থানীয় হিন্দুদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। স্থানীয় হিন্দুরা যাতে পুলিশে অভিযোগ না করে, তার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামিলীগ নেতারা স্থানীয় হিন্দুদেরকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। বর্তমানে স্থানীয় হিন্দুরা আতঙ্ক ও হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় বাস করছে।