অশ্বিনী কুমার হত্যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য! স্থানীয় মসজিদের মাইক থেকে দেওয়া হয় হামলার আদেশ

0
1095

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু থেকেই লাশের রাজনীতি শুরু হয়েছে। প্রথম দিন থেকেই একেক জায়গা থেকে একেক রকম চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে আসছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উত্তেজনার মাঝেই কিষাণগঞ্জে ঘটে গিয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। মব লিঞ্চিংয়ে বলি একজন পুলিশ অফিসারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কিষাণগঞ্জ। সোমবার কিষাণগঞ্জ মব লিঞ্চিংয়ে মৃত পুলিশ পরিদর্শকের হত্যার মামলায় মূল আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার পুলিশ এই রাজ্যের একটি গ্রাম কিষাণগঞ্জে পুলিশ ইন্সপেক্টরকে হত্যার মামলার মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে এবং দাবি করা হয়েছে, যেগ্রামের একটি মসজিদকে ‘লোক খেপানোর’ কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। এবং ওই মসজিদের মাইক ব্যবহার করে গ্রামবাসীদের পুলিশ বাহিনীর ওপর আক্রমণের আদেশ দেওয়া হয়। এবং এই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত একটি মোটরসাইকেলের চুরির ঘটনার সঙ্গেও জড়িত বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

কিষাণগঞ্জ সাবডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (SDPO) জাভেদ আনসারি বলেছেন,”পুলিশ বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য স্থানীয় একটি মসজিদ থেকে ঘোষণা করা হয়। প্রধান আসামি ফিরোজ আলম ও মোঃ ইস্রায়েল উভয়ই সেই সময় মসজিদে উপস্থিত ছিলেন এবং মসজিদে ব্যবহৃত মাইককে কাজে লাগিয়ে মৌলবীকে একটি আক্রমণাত্মক ঘোষণা করতে বলেছিলেন। এই ঘোষণার পরপরই পুলিশ বাহিনীর ওপর প্রায় ৫০০ লোক হামলা চালায় এবং ফলস্বরূপ পুলিশ ইন্সপেক্টর মারা যান।”

শনিবার সকালে, কিষানগঞ্জ থানায় স্টেশন হাউস অফিসার (SHO) পদে কর্মরত অশ্বিনী কুমার (৫০) দুই রাজ্যের সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের পাঞ্জিপাড়ায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে গ্রামে হাজির হতেই, তিনি সহ তাঁর টিমের ওপর গ্রামের মানুষ চড়াও হয়। গ্রামবাসীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরগঞ্জ থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে তিনি দলবল নিয়ে ওই গ্রামে গিয়েছিলেন।

ওই দিনের পুলিশি অভিযানের সময় অফিসার অশ্বিনী কুমারের সঙ্গে আসা আট জন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে কারণ তারা গ্রামবাসীদের আক্রমণের সময় কর্তব্যে অবহেলা করে সেই জায়গা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।

রবিবার, অশ্বিনী কুমারের মরদেহ যখন পূর্ণিয়ায় তার নিজের বাড়িতে পৌঁছায়, ছেলের মৃত্যু সংবাদের শোক সহ্য করতে না পেরে তাঁর মাও মারা যান। সন্ধ্যায় মা ও ছেলে দুজনেরই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।

এখনও পর্যন্ত মব লিঞ্চিংয়ের এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান অভিযুক্ত মোঃ ইস্রায়েলসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ফিরোজ আলমের বাড়ি থেকেও চুরি হওয়া সেই বাইকটি উদ্ধার করা হয়েছে।

অন্যদিকে, নিহত এসএইচও-এর মেয়ে ন্যান্সি আটজন পুলিশ সদস্যকে দায়ী করে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।