সন্তানদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরকরণের আক্ষেপে মন্দিরে সম্পত্তি দান ৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধের

0
626

বঙ্গদেশ ডেস্ক: পৃথিবীজুড়ে খ্রিস্টান মিশনারিরা ধর্ম পরিবর্তন করার নামে যে চক্রান্ত যা অন্য কোনো সংগঠন চালায় না। ভারতে ইংরেজদের শাসন আমল থেকেই মানুষজনকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ব্যাবসা শুরু হয়েছে। যা বর্তমানে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। খ্রিস্টান মিশনারিদের দৌরাত্ম্যে বহু মানুষ খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছে। মানুষের দারিদ্রতাকে হাতিয়ার করে মিশনারিরা ভারতে ব্যাপক হারে ধর্মান্তরকরণের ব্যাবসা চালাচ্ছে।

সম্প্রতি, তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমের এক হিন্দু ব্যক্তি তার সম্পত্তিসহ জমিবাড়ি দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ তার সন্তানেরা খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে। মুনুসামি অ্যাভিনিউ, কাঞ্চিপুরমের একজন বাসিন্দা, ৮৫ বছর বয়সী ভেলায়থাম ভয় পাচ্ছেন যে তার সন্তানেরা, দুই মেয়ে এবং এক ছেলে হিন্দু রীতি অনুযায়ী তার শেষকৃত্য করবে না। তাই তিনি এই সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি তার দুকোটি টাকার সম্পত্তি বংশের দেবতা কুমারকোট্টম মুরুগান মন্দিরে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভেলায়থাম যিনি তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য পরিদর্শক হিসাবে অবসর গ্রহণ করেছেন, তিনি ২,৬৮০ বর্গফুটের একটি বাড়ির মালিক যার বর্তমান বাজার মূল্য 2 কোটি টাকা। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন, যে তিনি কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে এই বাড়িটি তৈরি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যে তার তিন সন্তানই খ্রিস্টানদের বিয়ে করেছে এবং খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে, তাই হিন্দু ঐতিহ্য অনুসারে তার শেষকৃত্য সম্পাদনের জন্য পরিবারে কেউ অবশিষ্ট নেই।

তিনি আরও বলেন, “আমার অন্তেষ্টিক্রিয়া হিন্দু হিন্দু রীতি অনুযায়ী হতে হবে। তার তিনজন সন্তান‌ই খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছে। তাই, আমার কাছে মনে হয়েছে, তারা হিন্দু পদ্ধতিতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করবে না।”

ভেলায়থাম আরও বলেছেন, ” যারা খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে তাদের আমার সম্পত্তি দেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই।” বর্তমানে তার দুই সন্তান তার বাড়ির একটি অংশে থাকে। তাদের জন্য তিনি বলেছেন, “আমি এবং আমার স্ত্রী যতদিন বেঁচে আছি তারা এখানে থাকতে পারবে। কিন্তু আমরা মারা গেলে মন্দির প্রশাসন বাড়িটি দখল করে নেবে”।

ভেলায়থাম জানিয়েছেন, তিনি এইচআরসিই মন্ত্রীর কাছে বিক্রয় দলিল হস্তান্তর করেছেন এবং দম্পতির মৃত্যুর পরে বাড়িটি মন্দির প্রশাসন দখল নেবে। ধর্মান্তরকরণের ঘটনা নতুন নয়।দীর্ঘদিন ধরেই ধর্মান্তরকরণ নিয়ে পারিবারিক বিরোধের খবর পাওয়া যাচ্ছে। গত বছর, কর্ণাটকের বিধায়ক জি শেখর বিধানসভায় বলেছিলেন যে তার নিজের মা খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন এবং তিনি এখন বাড়িতে হিন্দু আচার-অনুষ্ঠানে আপত্তি জানিয়েছেন।