হতাহত ৩০৭! অরাজক পাকিস্তান বাধ্য হল কট্টরপন্থী ইসলামিক দলকে ব্যান করতে

0
676

বঙ্গদেশ ডেস্ক – পাকিস্তান বুধবার সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে একটি উগ্র ইসলামপন্থী দলকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের সমর্থকরা টানা তৃতীয় দিন আইন প্রনয়নকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এর ফলে সাত জন মারা গেছেন এবং তিন শতাধিক পুলিশ আহত হয়েছেন। আহতদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক, তার মধ্যে কোভীডের ফলে পাকিস্তানি হাসপাতাল গুলির অবস্থাও শোচনীয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ১৯৯৭ সালের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনের ১১-বি বিধি অনুসারে তেহরিক-ই-লাবাইক – পাকিস্তান (টিএলপি) -কে নিষিদ্ধ করেছে। “আমি টিএলপিকে নিষিদ্ধ করার জন্য পাঞ্জাব সরকার প্রেরিত একটি প্রস্তাবকে অনুমোদন দিয়েছি” বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। “আমরা যারা টিএলপিকে অর্থ দিচ্ছে তাদেরও সতর্ক করে দিয়েছি।”

আহমেদ বলেছিলেন যে গত দু’দিন ধরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে দু’জন অতিরিক্ত পুলিশ কর্তা নিহত ও ৩৫০ জন বিভিন্ন জায়গায় আহত হয়েছেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, কমপক্ষে দু’জন প্রতিবাদকারীও মারা গেছেন।

কিছু শহর ও শহরতলিতে টিএলপি সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে চলতে থাকে। পাকিস্তানি রেঞ্জাররা দেশের বড় বড় রাস্তাগুলি খুলে দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে ‘ব্যান’ হওয়ার ঘোষণা এসেছিল বলে উইওন নিউজ তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে।

ফ্রান্সে নবী মুহাম্মদের কার্টুন প্রকাশের পরে টিএলপি’র তরফে দাবি করা হয়েছিল, ইমরান খান সরকার যেন ফরাসী রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে। সেই দাবী মানার জন্যে ২০ এপ্রিলের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ইসলামপন্থীরা ধ্বংসাত্মক আন্দোলনে নামে। তাদের প্রধান সাদ হুসেন রিজভির গ্রেপ্তারের পরে সোমবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ আরও জোরদার করে টিএলপি। কয়েক মাস আগে মারা যাওয়া খাদিম হুসেন রিজভির ছেলে সাদ রিজভিকে গ্রেপ্তারের পর ২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে আড়াই মিলিয়ন ভোট পেয়েছিল এই টিএলপি। এখন তাদের ব্যান করার পরে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার।