আসামের করিমগঞ্জ জেলার সন্ন্যাসী মন্দিরে গোমাংস নিক্ষেপ, মন্দির সরিয়ে নেওয়ার হুমকি

0
781

বঙ্গদেশ ডেস্ক: এতোকাল ইসলামিক বাংলাদেশে দেখা যেতো যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধার্মিক অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য গরুর মাংসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে জিহাদী মুসলিমরা। এবার ভারতেও সেরকমই ঘটনা প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে। আসামের করিমগঞ্জের কালীগঞ্জ এলাকার চণ্ডীদাশ গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার একটি হিন্দু মন্দিরে রাতের অন্ধকারে জিহাদী দুষ্কৃতিরা গরুর মাংস ফেলে গিয়েছে। 

করিমগঞ্জ জেলার এই মন্দিরটি স্থানীয়ভাবে সন্ন্যাসী মন্দির নামে পরিচিত। গত ২০ জানুয়ারী রাতের বেলায় এই ঘৃণ্য ঘটনাটি ঘটে। গতকাল সকালে মন্দিরে এক স্থানীয় হিন্দু পূজা দিতে এসে মন্দিরে গরুর মাংস ও হাড় ফেলে রাখা দেখতে পায় এবং স্থানীয় হিন্দুদেরকে খবর দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় হিন্দুরা মন্দিরে জমায়েত হয় এবং পরবর্তীতে সেখানে পুলিশ আসে ও তদন্তের আশ্বাস দেয়। 

এখানেই শেষ নয়। গরুর মাংস ও হাড়গোড়ের সাথে একটি হুমকির চিঠিও পাওয়া গিয়েছে। চিঠিতে স্পষ্ট করে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে সন্ন্যাসী মন্দিরটি উক্ত স্থান থেকে সরিয়ে নিতে, নতুবা ফলাফল ভালো হবে না। একে মন্দিরে গোমাংস ফেলা, আবার সাথে হুমকির চিঠির কারণে স্থানীয় হিন্দুরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। কারণ এর পূর্বেও এই একই মন্দিরে গোমাংস ফেলার ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করা তো দূরে থাক, মামলাটির কোন অগ্রগতিই হয়নি৷ সেই কারণেই স্থানীয় হিন্দুরা এই ঘটনায় ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে। পুলিশ গোমাংস সরিয়ে নেয় মন্দির থেকে এবং তদন্তের আশ্বাস দেয়। ভারতবর্ষেও ইসলামিক বাংলাদেশের ন্যায় হিন্দুদেরকে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য গোমাংসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে জিহাদী দুষ্কৃতিরা, আসামের এই ঘটনাই তার প্রমাণ।