টিপু সুলতান এবং হায়দর আলির অধ্যায় বাদ গেল কর্ণাটকের স্কুলগুলির ইতিহাস বই থেকে

0
754

বঙ্গদেশ ডেস্ক: করোনা আবহে সারা দেশের স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন বন্ধ৷ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করলেও সব ছাত্রছাত্রীর কাছে ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় অনেকেরই পঠনপাঠন সম্পূর্ণরুপে হচ্ছেনা৷ এই পরিস্থিতিতেই কয়েকদিন আগে সিবিএসই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সিলেবাস কমিয়ে দিয়েছিল শুধুমাত্র এই শিক্ষাবর্ষের জন্য। একই পথে হাঁটল কর্ণাটক রাজ্য সরকারও। রাজ্যের শিক্ষাদপ্তর সিলেবাস ৩০ শতাংশ কমাতে বাধ্য হল করোনা আবহে দাঁড়িয়ে।

ইতিহাসে টিপু সুলতান ও হায়দর আলির অধ্যায় পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে এই শিক্ষাবর্ষের জন্য৷ মুঘল ও রাজপুতদের কে কেন্দ্র করে অধ্যায়, ‘জিশুখ্রিস্ট এবং মহম্মদের শিক্ষা’ কেন্দ্রিক অধ্যায়টিকেও অনেকাংশেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে৷

কর্ণাটকের টেক্সট বুক সোসাইটির প্রধান জানিয়েছেন যে পাঠ্যক্রম ছোট করার উদ্দেশ্যেই সপ্তম শ্রেণীতে টিপু সুলতানের অধ্যায়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়ারা ষষ্ঠ শ্রেণীতে ইতিমধ্যেই টিপু সুলতানের সম্পর্কে পড়েছে খানিকটা এবং দশম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়ে আবার পড়বে, তাই এই অংশটুকু বাদ দিলে তাদের কোনো ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া এই অধ্যায়টিকে অ্যাসাইনমেন্টের আওতায় রাখা হয়েছে।

এই মাসের শুরুতেই সিবিএসই-র সিলেবাস কমানো নিয়েও দেশে বিতর্কের শুরু হয়েছিল। ফেডারালিসম, সেকুলারিজম, সিটিজেনশিপ ইত্যাদি বিষয় বাদ দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। পরবর্তীতে অবশ্য কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রককে বিবৃতি দিয়ে জানাতে হয় যে ‘ছাত্রছাত্রীদের ওপর থেকে চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত। আর পাঠ্যক্রম কমানো হচ্ছে শুধু এই শিক্ষাবর্ষের জন্যই।’