করোনা ভাইরাসের জেনেটিকের খোঁজে চীনের গভীর গুহায় WHO-এর দল

0
580

বঙ্গদেশ ডেস্ক: চীনের গুহাগুলিতে অবস্থিত যে বাদুড়ের শরীর থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে অনুমান, সেই গুহাগুলিতে তদন্ত করতে আগ্রহী হু-এর বিশেষজ্ঞ দল। এমনকি উহানের একটি গুহায় এখন তদন্ত শুরু করেছে হু-এর একটি বিশেষ টিম। জানা গিয়েছে, করোনভাইরাস ছড়ানোর সঙ্গে সম্পর্কিত জেনেটিক প্রমাণ খুঁজতে বিশেষ তৎপর ওই বিশেষ টিম। ওই টিমেরই অন্তর্ভুক্ত এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ‘আমাদের উহানের অন্য সব গুহাগুলিই খুঁজে দেখা উচিত, যেখান থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ভীষণরকম ঝুঁকি আছে।

হু-এর যে টিম উহানের গুহায় করোনা ভাইরাসের উৎসের খোঁজে পৌঁছেছে তাঁদের এক সদস্য পিটার দাসজ্যাক। তিনি আবার একজন প্রাণীবিদ ও প্রাণী বিশেষজ্ঞও। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৯ এর শেষে ছড়িয়ে পড়া করোনভাইরাস সম্পর্কে নতুন তথ্য হাতে আসছে। তবে কোন কোন নতুন তথ্য উঠে এসেছে সে ব্যাপারে মুখে তিনি অবশ্য বলেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সম্ভবত কোনও পরীক্ষাগারে তৈরি হয়নি।

পিটার আরও জানিয়েছেন, করোনার উৎপত্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে নানান গুঞ্জন ও অভিযোগ রয়েছে। বিশেষত, আমেরিকা বহুবার চীনকে এব্যাপারে কাঠগড়ায় তুলেছে। আমেরিকার দাবি, চীন সঠিক সময়ে ভাইরাসের তথ্য দেয়নি বিশ্বকে। অন্যদিকে আবার চীনের দাবি, করোনাভাইরাস চীন না বরং বিশ্বের অন্য কোনও দেশ থেকে ছড়িয়েছে।

পিটার নিউইয়র্কের ইকোহেলথ অ্যালায়েন্সেরও সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, করোনার উৎস ও সময় জানার জন্য বিশেষজ্ঞদের সব জায়গায় তদন্তের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পাওয়া উচিত। তাঁর মতে, এই ধরনের খোঁজে, উৎসস্থল জানা খুব জরুরী। যদি জানা যায় কোথা থেকে এটা ছড়াচ্ছে, সেক্ষেত্রে সেই জায়গা বন্ধ করে দিলে এমনিই সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব।

পিটারের বক্তব্য, সে জানে না আদৌ চীন এই গুহাগুলি থেকে বাদুড়ের দেহ থেকে স্যাম্পেল সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছিল কিনা, তবে করোনা ভাইরাস ও সার্স ভাইরাস এর মধ্যে ভীষণ মিল রয়েছে।

পিটারের বক্তব্য, উহানে বা চীনে কোন ব্যক্তি প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন সেটা খুঁজে বের করা দুষ্কর। এটা মহামারী ছড়িয়ে পড়ার আগের ঘটনা হওয়ার খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ, তবুও তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন।