ফুলবাবুদের “চাষা” নয়, আত্মনির্ভর কৃষকের জন্য চাই কৃষি বিল

0
2243

সুমন দেব রায়

 

ছোটো শিশু  যখন টলমল পায়ে  হাঁটা শুরু করে,  তখন ক্ষণে ক্ষণে তাকে পড়ে যেতে দেখা যায়।  বাড়ির গুরুজনেরা তখন একটি কথাই সাধারণতঃ বলে থাকেন : ওকে নিজে নিজে উঠে দাঁড়াতে  দে, কেউ তুলে ধরিস না ।

আমাদের জীবনের প্রথম আত্মনির্ভরতার পাঠ এই সময়েই শুরু হয়। আমাদের সমাজে , আমাদের ঐতিহ্যে আত্মনির্ভরতার ধারনা এভাবেই আমরা বহন করে চলেছি আমাদের সাধারণ জীবনযাত্রার মধ্য দিয়ে। আলাদা করে আমাদের প্রথাগত শিক্ষার মাধ্যমে শেখাতে হয় না। আত্মনির্ভরতা আমাদের সম্মানজনক উপায় অবলম্বন করে অস্তিত্ব বজায় রাখতে শেখায়। শিশুকাল থেকে স্বনির্ভর হওয়ার শিক্ষা লাভ করলে এবং সেই শিক্ষা আত্মস্থ করতে সক্ষম হলে তবেই না মানুষ পরিণত বয়সে মেরুদণ্ড সোজা রেখে চলতে শিখবে।

এ সব আমরা সবাই জানি । নতুন কোনো কথাই নয়। শ্রেনীকক্ষতে শিক্ষক মহাশয় ছাত্রদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর উপদেশ প্রদান করছেন ,বাড়িতেও বড়রা ছোটদের একই কথা  বলেই চলেছেন প্রায় ধারাবাহিকতা মেনে । অথচ স্বাধীনতার ৭৩ বছর পরে চাষীদের নিজেদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করবার স্বাধীনতার কথা উঠলে, নিজেদের স্বার্থে চুক্তি করবার প্রসঙ্গ সামনে এলেই কেন  এত হাহাকার শোনা যাচ্ছে ? এর অর্থ কি এই যে যাদের আমরা সুশীল ভদ্রলোকেরা যাদের ‘চাষা চাষা‘ করি ,সেই চাষীদের  শিশুদের চেয়েও কম ভরসা করি ? শিশুরা উঠে দাঁড়াতে পারলে চাষীরা নিজের পায়ে কেন দাঁড়াতে সক্ষম হবে না ? এই প্রসঙ্গে নতুন কৃষি আইনগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।

 

কৃষি আইন ও তার তাৎপর্য

তিনটি কৃষি আইনের পোশাকি নামগুলো আমি উল্লেখ করছি না। মোটামুটিভাবে বলা যায় যে একটি আইন চাষীদের নিজেদের পণ্য বিক্রির স্বাধীনতা প্রদান করেছে এবং সেই স্বাধীনতা সম্পর্কিত অধিকার কিরূপে চাষীরা প্রয়োগ করতে পারবে তা বর্ণনা করেছে। অপর একটি আইন চাষীদের বিভিন্ন ব্যবসায়ী বা উদ্যোগী সংস্থার সাথে উৎপাদন সংক্রান্ত  চুক্তির পদ্ধতিকে  আইনি রূপ প্রদান করেছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সম্পর্কিত আইনে  বিভিন্ন পণ্যকে নিয়ন্ত্রণের নাগপাশ থেকে মুক্ত করা হয়েছে যাতে  কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় ।

তিনটি আইনকে একটি সরলরেখায় ফেলে বিচার  করলেই বোঝা সম্ভব সামগ্রিক তাৎপর্য, কেন একটি আইনকে অন্যটির থেকে পৃথক করা সম্ভব  নয়। প্রাথমিক উদ্দেশ্য একটিই- ভারতীয় কৃষি তথা কৃষকের  প্রকৃত উন্নতিসাধন, আত্মনির্ভরতার মন্ত্রে কৃষকদের দীক্ষিত করা।

কৃষককে উৎপাদিত পণ্য বিক্রির স্বাধীনতা প্রদানের আইনে বেশ কিছু চিন্তার খোরাক রয়েছে। যেমন বলা হয়েছে যে ট্রেডার বা  ব্যবসায়ী ক্রেতাকে বাধ্যতামূলকভাবে  আয়কর আইন এবং পদ্ধতি অনুসারে Permanent Account Number নিতে হবে । কৃষককে তিনদিনের মধ্যে পাওনা মিটিয়ে দিতে তো হবেই, সেই মেটানোর পদ্ধতি কি হবে সেটাও কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করে দেবে।

আপাত সরলতার ভেতরে একটা বিস্ফোরক ভবিষ্যতের সন্ধান যেন পাওয়া যাচ্ছে।  চাষীদের কাছ থেকে পণ্য কিনতে গেলেই PAN বাধ্যতামূলক হলে কত লেনদেন যা এতদিন হিসেবের বাইরে ছিল প্রকাশ্যে চলে আসবে। নগদে লেনদেন হবে ? কিভাবে লেনদেন হবে সেটাও তো সরকার ঠিক করে দেবেন। জনধন যোজনার কারনে অধিকাংশ চাষির নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কাজেই সরকার নিশ্চয়ই এমন লেনদেনের পদ্ধতি স্থির করবেন যা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার মাধ্যমে চালু হবে। যারা খুব চিৎকার করছেন তারা এটা দেখেনি ভাবছেন? আদৌ না। কত বেনামী লেনদেন , হিসাব-বহির্ভূত লেনদেন প্রকাশ্যে চলে আসবে এটা ‘গণ্যমান্য ‘ ব্যক্তিরা ভালই বুঝতে পারছেন। প্রশ্ন উঠতে পারে, এতে চাষীদের কি লাভ হবে? কৃষিক্ষেত্রে একটা major clean-up operation না হলে কখনোই সঠিক পদ্ধতিতে বিনিয়োগ কৃষিতে আসবে না , আর দীর্ঘমেয়াদী উন্নতিও অধরা থেকে যাবে।

আইনটিতে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে লেনদেনের কথাও বলা হয়েছে। ভারতবর্ষের  মত বিশাল দেশে,যেখানে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিপুল,  কৃষি পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম মারফত লেনদেন এক দুরন্ত সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে। বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থানকারী ক্রেতা- বিক্রেতার মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা, স্বচ্ছ লেনদেন নিশ্চিত  করা এবং সঠিক দাম নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ভূমিকা পালন করতে পারবে এই অনলাইন কেন্দ্রগুলো। দেশের অভ্যন্তরে ভারতবর্ষের তথ্যপ্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহারের একটি সুযোগ নিশ্চিত করছে কৃষি আইনটির এই অংশটি। যে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক পরিবারের  ছেলেমেয়েরা সফলভাবে অনলাইন ক্লাসে যোগ দিচ্ছে,পরীক্ষাও দিচ্ছে, সেদেশে কৃষকরা অনলাইনে লেনদেন করতে পারবে না, এটা বলা মানে কি এই যে ‘চাষার ছেলেকে’ আমরা মনে মনে সতিই তুচ্ছতাচ্ছিল্য ছাড়া আর কিছু করি না। যেমন করে ইন্টারনেট, সোস্যাল মিডিয়ার আবির্ভাব অনেকটাই দুর করতে পেরেছে গ্রাম-শহরের পার্থক্য বা মহানগর ও ছোট শহরের দূরত্ব, তেমন করেই প্রযুক্তির প্রয়োগ চাষীদের আত্মনির্ভর হতেই সাহায্য করবে, এটা বলতে শুধু একটু দৃঢ় বিশ্বাসের শুধু প্রয়োজন।

কৃষক সুরক্ষার বিধান

এবার একটু সেই আইনটির কথায় আসা যাক যেখানে কৃষি পণ্য উৎপাদনের জন্য কৃষক আর কোন ব্যবসায়িক উদ্যোগ বা স্পনসর এর মধ্যে চুক্তির কথা বলা হয়েছে। কৃষক এবং স্পনসর এর মধ্যে চুক্তি সম্পূর্ণ নতুন কিছু নয়। এখনও চুক্তি চাষ অনেক জায়গায় হয়ে চলেছে। তফাতটা হল এবার প্রথম এভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ভারতীয় সংসদ উৎপাদন সম্পর্কিত চুক্তিকে আইনি রক্ষাকবচ দেওয়া হল। আইনটিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে একটি মডেল চুক্তি তৈরি করার জন্য যাতে চুক্তি সম্পাদনে সুবিধা হয়, আইনি ঝামেলা ন্যূনতম দেখা যায়। এই আইনটিতে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে কিছু  বিষয় :

যেমন চুক্তি কখনোই এমন হবে না যাতে জমির উপর স্পনসরের কোন অধিকার জন্মানোর সুযোগ থাকে ;

কোন আইনি দায়িত্ব চাষির উপর বর্তাবে না,স্পনসরকে পালন করতে হবে  সব আইনি দায়িত্ব ;

চুক্তিতে দামের কথা পরিষ্কার করে উল্লেখ করতে হবে ,দামের ওঠাপড়ার প্রশ্নে একটা নিশ্চিত দাম বা guaranteed value যাতে চাষী লাভ করে তা চুক্তিতে লিখিত থাকবে ,এমনকি দাম নির্ধারণের পদ্ধতিও চুক্তির সাথে annexure হিসেবে রাখতে হবে ;

যদি বীজ উৎপাদনের জন্য চুক্তি সম্পাদিত হয়, তবে উৎপাদিত পণ্য ডেলিভারি নেওয়ার সময়েই দুই-তৃতীয়াংশ দাম কৃষককে মিটিয়ে দিতে হবে , অন্য পণ্যের ক্ষেত্রে ডেলিভারির সময়েই সম্পূর্ণ দাম যা স্থির হয়েছিল, মিটিয়ে দিতে হবে এবং ডেলিভারির যাবতীয় দায়িত্ব স্পনসরের  উপরেই ন্যস্ত করা হয়েছে এই আইনে;

আইনে বলা আছে যে যদি কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনার ফলে চাষী চুক্তি অনুযায়ী উৎপাদন করতে সক্ষম না হয়, তবে চাষীর কাছ থেকে কোন ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে না।

তাহলে, কিসের ভিত্তিতে আমরা বলছি যে চাষীদের শোষণ করবার সুযোগ করে দেওয়া হল এই কৃষিচুক্তির আইনের মাধ্যমে ? যেখানে চাষীদের দায়িত্ব শুধুমাত্র চুক্তি অনুযায়ী পণ্য উৎপাদনে সীমাবদ্ধ,চিন্তা করতে হচ্ছে না কৃষির সামগ্রী সংগ্রহ করা থেকে উৎপাদিত  পণ্য  করা পর্যন্ত কোনটাই, সেক্ষেত্রে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে শোষণের অবকাশ কোথায়? এমনও শোনা যাচ্ছে যে আবার নাকি নীলকরদের পরিস্থিতি ফিরে আসবে। যারা বলছেন তারাই আবার সংবিধান বিপন্ন, বিচারবিভাগ বিপর্যস্ত বলে কান্নাকাটি করে থাকেন নিয়মিত। একটি স্বাধীন, সার্বভৌম দেশের নির্বাচিত সংসদ যে আইন পাশ করল তার সাথে একটি ঔপনিবেশিক শাসনের সময় কি ঘটেছিল তার তুলনা। তাহলে সংবিধানের প্রতি বিশ্বাসটাও কি ‘প্রতিবাদের’ মতই selective ?

এটাও বলা হচ্ছে যে চাষীর বিচার পাওয়ার কোন জায়গা আইনে নেই। প্রচারের গরু যেন শুধু গাছে ওঠে নি, মগডালে উঠে বসে আছে। আইনে পরিস্কার ভাবে বলা রয়েছে যে চুক্তির মধ্যেই বিবাদ মীমাংসার জন্য একটি সালিশি বোর্ড তৈরির ব্যবস্থা রাখতে হবে  এবং বোর্ডে দুপক্ষের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে। সালিশি বোর্ড যদি সমস্যার সমাধান করতে পারে ,সেই সমাধান নথিভুক্ত রাখতে হবে। যদি সমাধান না মেলে, তবে মহকুমা শাসক পালন করবেন পরবর্তী বিবাদ নিষ্পত্তির দায়িত্ব। মহকুমা শাসকের সমাধান গ্রহণযোগ্য না হলে জেলা শাসক বা অতিরিক্ত জেলা শাসক পরবর্তী আবেদন শুনবেন। ৩০ দিনের মধ্যে বিবাদ নিষ্পত্তি করতেই হবে। সিভিল কোর্টকে বিবাদের বাইরে রাখা হয়েছে তার মূল কারন অবশ্যই সিভিল কোর্টের স্বাভাবিক দীর্ঘসূত্রিতা এবং সেই সম্পর্কিত জটিলতা। সত্যের বিকৃতি ঘটিয়ে কত নীচে নামতে পারে একদল কৃষকদরদী মানুষ, ভেবে দেখুন। কি সম্মানের দৃষ্টিতে এই ‘চাষীদের জন্য আজীবন রক্ত-ঝরানো ‘ মানুষেরা চাষীদের দেখে থাকেন, কল্পনা করা যায় না। চাষীরা এতটাই ‘বুদ্ধিহীন’ তেনাদের কাছে যে  পাউডার মাখা ফুলবাবুরা আন্দোলন, সংগ্রামের কথা না শোনালে তারা চাষাবাদটাও ঠিক করে করতে পারবে না।

 

কৃষক সুরক্ষার বিধান

অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত কৃষি আইন সোজাসুজি ভাবে বলতে গেলে অনেক কৃষি  পণ্য যেমন আলু, পেঁয়াজ , ইত্যাদিকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার কথা বলেছে। এই আইনের তাৎপর্য  বিশেষ ভাবে বোঝা যাবে  তখনই যখন বিপুল পরিমাণ উৎপাদিত কৃষি পণ্য বা শস্য  বছরের পর বছর  স্রেফ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে পারব। সবাই স্কুল- কলেজে পড়ে এসেছে , পর্যাপ্ত সংখ্যক হিমঘরের অভাবে ভারতবর্ষে কৃষিজ পণ্য সংরক্ষণ করা যায় না , তাই খাদ্য শস্যের একটা বিশাল অংশ পচন ধরে নষ্ট হয়। কিন্ত কেন পর্যাপ্ত সংখ্যক হিমঘর নেই ? কেন ঠিকঠাক উপায়ে ব্যবসা করতে ইচ্ছুক মানুষেরা হিমঘরে বিনিয়োগ করতে রাজি হয় না ? এমনকি শ্রেণীকক্ষে দাড়িয়ে অত্যন্ত  ‘প্রগতিশীল’ শিক্ষক মহাশয় চোখের জল বিসর্জন দিয়ে ‘হিমঘরের অভাবে কৃষকের রক্তঝরানো ফসল নষ্ট হচ্ছে’ বলে শোক প্রকাশ করলেও কেন হিমঘরের অভাব সে কথা কোনভাবেই আলোচনা করছেন না। আলোচনা করার চেষ্টা করলে বা ভাবনার সৃত্রপাত হলেই ‘পুঁজিবাদের সমর্থক’ তকমা জুটে যেতে পারে। কাজেই কি দরকার এত ভাবনাচিন্তা করবার ?

দাবি উঠিয়ে দিলেই হল যে সরকার কেন হিমঘর তৈরি করছে না।  ‘কুবেরের ভাণ্ডার’ থেকে সরকারকে প্রতিরক্ষা খাতে খরচ করে জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে, অতিমারীর সময় অনাহারে কেউ যাতে না মরে তার ব্যবস্থা করতে হবে, রাস্তাঘাট তৈরি করে পরিকাঠামো উন্নত করতে হবে, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে খরচ বৃদ্ধি করতে হবে – এ সব স্বাভাবিক দাবি। তা বলে দেশের কোণায় কোণায় হিমঘর বানিয়ে দেওয়ার দাবী -হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রীও তো হাসবেন ।

অত্যাবশ্যকীয় কৃষিপণ্য সংক্রান্ত নতুন আইন তথাকথিত অত্যাবশ্যকীয় পণ্যকে নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করে কৃষিতে  বেসরকারী বিনিয়োগের পথ সুগম করেছে। এখন হিমঘরে বিনিয়োগকারীকে আর ভাবতে হবে না যে সরকারী পরিদর্শক এসে হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে মজুত মাল বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যেতে পারে। চাষী নিশ্চিন্ত মনে মজুত রাখতে পারলে শস্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে, চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করবার পরিস্থিতি তৈরি হলে চাষীর নিরাপত্তা যে সুনিশ্চিত হবে এটা বুঝতে কাণ্ডজ্ঞানই যথেষ্ট, বিশেষ জ্ঞানের প্রয়োজন নেই।

তিনটি আইনকে বিচ্ছিন্ন করে বিচার করলে সামগ্রিক গুরুত্ব অনুধাবন করা সম্ভব নয়।আইন তিনটির যুগপৎ প্রয়োগেই মিলতে পারে কাঙ্খিত ফলাফল।

পরিশেষে বলা যায় যে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার,স্পনসরদের বা উদ্যোগীদের দুয়ারে এসে দাম মিটিয়ে দেওয়া,দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাথে যোগাযোগ- সব মিলে চাষীদের জীবনে শুধু অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই বয়ে আনবে না, কৃষিক্ষেত্রেকে এক নিজস্ব গ্ল্যামারে মুড়ে ফেলবে।নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে তো সেটাও বড়ই প্রয়োজন।

(মতামত লেখকের ব্যক্তিগত। বঙ্গদেশ পত্রিকা দায়ী নয়।)

প্রচ্ছদ: শীর্ষ আচার্য