“ভারত আমেরিকার প্রকৃত বন্ধু” – ভারতের কোভিড ডিপ্লোম্যাসির প্রশংসায় পঞ্চমুখ আমেরিকা

0
800

বঙ্গদেশ ডেস্ক – ভারত অনুদানের সহায়তা হিসেবে, ভূটান, মালদ্বীপ, নেপাল, বাংলাদেশ, মায়ানমার, মরিশাস ও সেশেলসকে দেশীয়ভাবে উৎপাদিত করোনভাইরাস ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র তাই ভারতকে ‘সত্যিকারের বন্ধু’ হিসাবে অভিহিত করেছে যারা বিশ্ব সম্প্রদায়কে সহায়তা করছে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের রিপোর্টে এই বক্তব্য জানিয়েছে।

সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল এবং মরক্কো সহ বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই ভারত থেকে ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক সরবরাহ পেয়ে গেছে।

“দক্ষিণ এশিয়ায় কয়েক মিলিয়ন ডোজ কোভিড – ১৯ প্রতিষেধক ভাগ করে নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করি আমরা। ভারতীয় ভ্যাকসিনের বিনামূল্য শিপমেন্ট প্রদান মালদ্বীপ, ভুটান, বাংলাদেশ ও নেপাল দিয়ে শুরু হয়েছিল এবং তা অন্যান্য দেশেও সম্প্রসারিত হবে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহায়তার জন্য ভারত নিজেদের ফার্মাসিকে ব্যবহার করে সত্যিকারের বন্ধুর পরিচয় রেখেছে” শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরো টুইট করে এই কথা জানিয়েছে।

ইউএস হাউজের বিদেশ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি মিক্সও প্রতিবেশীদের নিখরচায় কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহের মাধ্যমে ভারতের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন যে মহামারীর মতো বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করার জন্য আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক, উভয় সমাধানই দরকার।

এর কয়েকদিন আগে যখন ভারত থেকে ভ্যাকসিনের চালান ব্রাজিল পৌঁছেছিল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর টুইট করেছিলেন “ওয়ার্ল্ডের ফার্মাসির উপর ভরসা রাখুন। মেড ইন ইন্ডিয়া ভ্যাকসিন ব্রাজিলে পৌঁছাল।”

ভারত তার (নেবারহুড ফার্স্ট) ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিমালার অধীনে, ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ নামে অভিহিত ‘ভ্যাকসিন কূটনীতি’ শুরু করেছে।

মহামারী চলাকালীন, ভারত হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন, রিমডেসিভির এবং প্যারাসিটামল ট্যাবলেটগুলির পাশাপাশি ডায়াগনস্টিক কিট, ভেন্টিলেটর, মুখোশ, গ্লাভস এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করেছিল বহু দেশে। এখন একাধিক প্রতিষেধক বানিয়ে আবারও বিশ্বের পাশে দাঁড়িয়েছে। একদিকে চীন যখন রোগ ব্যাধি দিয়ে জগতকে জর্জরিত করছে, অন্যদিকে তখন ভারত প্রতিষেধক দিয়ে বিশ্বের যন্ত্রণা লাঘব করছে।