শুধু কলকাতা নয় জেলাতেও ৯জুলাই থেকে লকডাউন, রইল তালিকা

বঙ্গদেশ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমনে চিন্তায় রাজ্য সরকার। করোনার সংক্রমন ঠেকাতে লকডাউনেই ভরসা রাখছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আগামীকাল অর্থাৎ ৯ ই জুলাই বিকেল পাঁচটা থেকে সমস্ত কনটেনমেন্ট জোনে পুরোদমে লকডাউন করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায় লিখিত বিজ্ঞপ্তিও ইস্যু করেছেন।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কনটেনমেন্ট ও বাফার জোনে অর্থাৎ কনটেনমেন্ট এলাকার পার্শ্ববর্তী কিছুটা অঞ্চলে কড়া লকডাউন নিশ্চিত করবে পুলিশ প্রশাসন।

কড়-লকডাউন এলাকার সমস্ত সরকারী বেসরকারী অফিস, গনপরিবহন,ব্যবসা-বানিজ্য, জমায়েত সম্পূর্নভাবে নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার।
এই সমস্ত অঞ্চলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার, প্রয়োজনে তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবে প্রশাসন।

কোথায় কোথায় কড়া লকডাউন:

(কলকাতা)
ভবানীপুর, উল্টোডাঙা, ফুলবাগান, বেলেঘাটা, আলিপুর, কাকুরগাছি, হিডকো, বিজয়গড়, যাদবপুর, নিউ আলিপুর, কসবা, মুকুন্দপুর, অজয়নগর।

ভবানীপুরের ১১ নং এলগিন রোড,চক্রবেড়িয়া রোড, শরৎ বোস রোড, ২ নম্বর জাস্টিস মাধব চন্দ্র রোড লকডাউনে থাকবে।
উল্টোডাঙার জওহরলাল দত্ত লেন, উল্টোডাঙা মেন রোড, অধরচন্দ্র দাস লেন, উজির চৌধুরী রোড,আরিফ রোড কড়া লকডাউনে থাকবে।
ফুলবাগানের সুরেন সরকার রোড,বিধাননগর রোড বন্ধ থাকবে।

বেলেঘাটার চাউলপট্টী রোড, খোদাগঞ্জ মেন রোড, রামকৃষ্ণ নষ্কর লেন লকডাউনে থাকবে। আলিপুরের বেল ডেভিয়ার রোড, রাজা সন্তোষ রায় রোড,আলিপুর রোড,জাজেস কোর্ট রোড বন্ধ থাকবে। কাঁকুড়গাছির বাঘমারি রোড, মানিকতলা মেন রোড বন্ধ থাকবে। হাডকো, হাডকো হাউজিং কড়া লকডাউনে থাকবে।

বিজয়গড়ের ২ নম্বর বিজয়গড়, ৪ নম্বর বিজয়গড়ে থাকবে কড়া নজরদারি। এছাড়া মুকুন্দপুরের মুকুন্দপুর পূর্বালোক, অজয়নগর সার্ভে পার্ক প্রভৃতিতে কড়া বিধিনিষেধ থাকবে বলে সরকারী সূত্রে জানা গিয়েছে।

(দক্ষিণ ২৪ পরগনা)

সব মহকুমা এলাকাতেই কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে।
তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলিপুর সদর মহকুমা এলাকায়, কারণ এই মহকুমার অধিকাংশ এলাকা কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায়। এর মধ্যে রয়েছে ঘোষেরহাট, দক্ষিণ গৌরীপুর, আমগাছিয়া, কন্যানগর গভর্নমেন্ট কলোনি, আশুতি রথতলা, চকডাঙা খেলার মাঠ, কয়াল পাড়া, আকান পাড়া। খাসিটিকা, নন্দভাঙা-নস্করপাড়া, মল্লিকপাড়া, দৌলাপুর শেখপাড়া, রামনগর মণ্ডলপাড়া, চক এনায়েতপুর, উদয়রামপুর, মীরপুর, বড়গগন গোহালিয়াস পশ্চিম উমেদপুর।

বারুইপুর মহকুমার রাজপুর সোনারপুর, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার ও জয়নগর মজিলপুর পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডেও রয়েছে কন্টেনমেন্ট জোন।
এর বাইরে ডায়মন্ড হারবার মহকুমার ফলতা, মগরাহাট ১ ও ২, কুলপি, মন্দিরবাজার, মথুরাপুর-২, মন্দিরবাজার ব্লকের বিভিন্ন এলাকাতেও কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে। কাকদ্বীপ মহকুমার পাথরপ্রতিমা, সাগর ব্লকের বহু এলাকাতেও কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে।

জানা গিয়েছে, সব জেলাকে নির্দেশিকা পাঠানো হলেও দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং মালদহে এর প্রয়োগের উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
কারণ, এই সব জেলাতেই সংক্রমণের হার বেশি।

নতুন করে লকডাউনের নির্দেশিকায় রাজ্য সরকার বিরোধীদের কঠোর সমালোচনা কুড়িয়েছে।
রাজ্য সরকারের এ দিনের নির্দেশিকা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য
, ‘‘এ রাজ্যে লকডাউন তো দেখলাম না এত দিন। শুধু ঘোষণাই শুনে গেলাম।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
আমার মনে হয়, এখন ১৫ দিন কড়া লকডাউন করলে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভেঙে যাবে।’’