দিল্লী দাঙ্গা : মুসলিম মেয়েরা বাড়ীর ছাদ থেকে অ্যাসিড ছুঁড়ছিল, পেট্রোল বোমা ছুঁড়তে তারা গুলতি ব্যবহার করছিল

0
1192

আমরা দেখেছি যে, উত্তরপূর্ব দিল্লিতে কিভাবে অপ্রত্যাশিত আকারের বিরাট দাঙ্গা হয়েছে। এই দাঙ্গাটার নেতৃত্ব দিয়েছে মুখ্যত সিএএ বিরোধীরা, যারা আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরুদ্ধে। উত্তরপূর্ব দিল্লির মধ্যে কারওয়াল নগর এলাকা সবচেয়ে বেশী ধ্বংসাত্মক দাঙ্গার শিকার হয়েছে। অপিইন্ডিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দাঙ্গাবিধ্বস্ত কারওয়াল নগর পর্যবেক্ষণ করার এবং সেখানে গিয়ে দেখে এসেছে মুসলিমরা সেখানে কিরকম বীভৎস দাঙ্গা বাঁধিয়ে এসেছে।

আমরা যখন কারওয়াল নগরের ‘ভগবান শিব চৌক’ এলাকায় পৌঁছলাম, দেখলাম সেখানে রাস্তা ও বাড়ী জুড়ে ইট ও বড় বড় পাথর ছড়িয়ে রয়েছে। জায়গার অবস্থা দেখেই মনে হচ্ছিল সেখানে যেন দাঙ্গা নয়, বুঝিবা গৃহযুদ্ধ চলছিল। আমরা খেয়াল করে দেখলাম, সেখানে বেছে বেছে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাতেই বেশী দাঙ্গা হয়েছে। এবং হিন্দু বাড়ী, দোকান ইত্যাদিতে আক্রমণ চালিয়েছে মুসলিমরা। একটি হিন্দু প্রধান ডিআরপি স্কুল পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, হিন্দু মালিকানাধীন দোকানপাটও বীভৎস অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছে। দেখলাম একজন কুম্ভকার অঝোরে কাঁদছেন, তার কয়েক মাসের পরিশ্রম দাঙ্গার ফলে নষ্ট হয়ে গেছে বলে। সেখানে চায়ের দোকানগুলো দেখলে মনে হবে যেন সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের কোনও দোকান বুঝি।

আমরা যখন শিব বিহার চৌকে পৌঁছলাম, সেখানেও দেখলাম এক জিনিস। হিন্দু প্রধান রাজধানী ডিআরপি স্কুল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেখানে একজন প্রত্যক্ষদর্শী ক্ষোভের সাথে জানালেন, উক্ত স্কুলে ৩০০ মুসলিম দাঙ্গাবাজ এসেছিল স্কুলে আগুন লাগাতে। তিনিই জানালেন, ঐ এলাকার উল্টোদিকে অবস্থিত কোনও মুসলিম অধ্যুষিত স্কুল বা দোকানে কিন্তু কিছুই হয়নি।

আমরা প্রত্যক্ষদর্শীর দাবির সত্যতা বিচার করতে গিয়ে দেখলাম, লোকটা মিথ্যা বলেনি। বাস্তবিকই মুসলিম এলাকায় অবস্থিত স্কুল, রাস্তা বা দোকানপাট সব একেবারে অক্ষত অবস্থায় আছে। কিন্তু উল্টোদিকে হিন্দু প্রতিষ্ঠানগুলো একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে। আমরা একটি হিন্দু দোকানে ঢুকে খাবারের অর্ডার দিলাম। সেখানে দাঙ্গার সংবাদ নিলাম। হিন্দু দোকানদার চা ও বিস্কুট দিতে দিতে ক্ষোভের সুরে বললেন, “জানেন, আমাদের বাড়ী, দোকান লক্ষ্য করে মুসলিম মেয়েরা তাদের বাড়ীর ছাদ থেকে মশাল, আগুন ছুঁড়ছিল? তারা গুলতি দিয়ে পেট্রোল বোমাও অবধি ছুঁড়ে মেরেছে। শুধু আমাদের নয়, পুলিশ বলুন, মিলিটারি বলুন; কাউকেই আক্রমণ করতে ছাড়েনি।”

এরপর আমরা আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী পেলাম, যিনি মুসলিমদের দ্বারা হিন্দু ‘প্রোগ্রম’ হতে দেখেছেন। হিন্দুরাও আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা প্রতিরোধ গড়েছে বটে, কিন্তু অপ্রস্তুত থাকার কারণে সংখ্যায় বেশী থেকেও তারা বেশি মার খেয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, মুসলিম বাড়ীগুলি যেহেতু হিন্দু বাড়ীর ছেয়ে বেশী উচ্চতায় অবস্থান করছিল; তাই তারা আক্রমণ ও আত্মগপন করার সুযোগও বেশী পেয়েছে। একজন হতভাগ্য হিন্দু দোকানদার দীনেশ মুনশি প্রতিরোধ গড়তে গিয়ে মারা গেছে। ঐ হিন্দু প্রত্যক্ষদর্শী আক্ষেপের সুরে বললেন, এতকিছুর পরেও হিন্দুরা দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের মধ্যে আটকে পড়া মুসলিমদের উদ্ধার করেছে। এতকিছু দেখার পরেও দাঙ্গাবাজরা শান্ত হবার বদলে হিন্দুদের আক্রমণ করতে ভোলেনি। তারা লাগাতার আক্রমণ করেই গেছে।

আমরা দেখলাম হিন্দুদের মধ্যে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছে। তারা আমাদের পরিষ্কারই বললেন, তাদের তো অভিযুক্তদের কাছেই থাকতে হবে, তাদের বিরুদ্ধে বললে পরেরদিন তাদের জীবিত অবস্থায় পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে।

যখন আমরা পুলিশ বাহিনীকে জিজ্ঞাসা করলাম, যখন এলাকায় এসব হচ্ছিল তারা নীরবে সব দেখে যাচ্ছিল কেন? তখন আমাদের অবাক করে পুলিশ বাহিনী বললেন, উপর মহল থেকে গুলি চালানোর আদেশ পাইনি তাই।

আমরা অবাক হয়ে গেলাম।

অপইণ্ডিয়ায় প্রকাশিত মূল লেখাটি থেকে অনুবাদ করেছেন সদানন্দ গৌড়াপ্পা।