দিল্লিতে জারি নয়া নির্দেশ, রেস্তরাঁর মাংস ‘হালাল’নাকি ‘ঝটকা’, জানাতে হবে ক্রেতাদের!

0
753

বঙ্গদেশ ডেস্ক: পাতে পরিবেশিত মাংস ‘হালাল’র নাকি ‘ঝটকা’, তা এবার থেকে ক্রেতাদের জানিয়ে দিতে হবে উত্তর দিল্লির রেস্তরাঁগুলিকে। মঙ্গলবারই এই প্রস্তাব পাশ‌ হয়েছে বিজেপি শাসিত উত্তর দিল্লি পুরসভা। বেশ কিছুদিন আগেই এই প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল পুরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে। মেয়র জয় প্রকাশের নেতৃত্বে তা পাশ‌ও হয়ে যায়। তাই এবার থেকে এই প্রস্তাব মেনেই উত্তর দিল্লির রেস্তরাঁকে মাংস কাটার পদ্ধতির উল্লেখ করতে হবে বলে জানিয়েছেন জয় প্রকাশ।

হালাল ও ঝটকা মাংসের মধ্যে পার্থক্য কী? হালাল শব্দের অর্থ অনুমোদিত। হালাল ফুড মানে শরিয়া আইন সম্মত খাবার। শরিয়া আইন বলে, জবাইয়ের সময় জন্তুকে জীবন্ত হতে হবে, শরীর থেকে সব রক্ত বেরিয়ে যেতে হবে। উলটো দিকে ঝটকায় এক কোপে জন্তুর মাথা ধড় থেকে আলাদা করা হয়। রাজধানী দিল্লির অধিকাংশ এলাকাতেই মাংসের চাহিদা বেশি। রেস্তরাঁগুলির পাশাপাশি খাবারের অনেক দোকান রয়েছে যেমন চাঁদনী চক, দরিয়াগঞ্জ, কাশ্মীর গেটের মতো এলাকায়। সেই সমস্ত জায়গায় নতুন এই নিয়ম মেনে চলতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রেড মিট ম্যানুয়াল থেকে ‘হালাল’ শব্দ সরিয়েছে কেন্দ্র। রপ্তানি করা রেড মিট ম্যানুয়ালে ‘হালাল’ শব্দের উল্লেখ থাকলে তা মুসলিম মাংস ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত সুবিধা পান। এমনই অভিযোগ একাধিক ডানপন্থী সংগঠনের। তাদের অভিযোগ, এই শব্দ ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত সুবিধা ভোগ করছেন মুসলিম ব্যবসায়ীরা। সংগঠনগুলি যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ভারত ইসলামিক দেশ ছাড়াও চিন, শ্রীলঙ্কার মতো দেশে মাংস রপ্তানি করে। যেখানে কিন্তু ‘হালাল’ সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়ে না। উলটে শ্রীলঙ্কায় হালাল নিষিদ্ধ । সংগঠনগুলির দাবি, এই পদক্ষেপের ফলে মাংস রপ্তানিতে সুবিধা পাবেন দেশের মাংস ব্যবসায়ীরা। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই কেন্দ্রের এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হয়েছিল।