সুভাষ তর্পণ

0
1077

– কবিশেখর কালিদাস রায়

 

নহে বিত্ত নহে যশ ভোগ সুখ নহে গুরুগিরি

নহে মান অথবা ফকিরি

কি তোমার কাম্য ছিল কিসে তব দাবি

আজি জন্মদিনে শুধু সেই কথা ভাবি।

সব কর্মফল

তব বীর জীবনের সকল সম্বল

কারে তুমি সমর্পিলে সাশ্রুনেত্রে তাহাই জিজ্ঞাসি।

হে সাধক আজন্ম সন্ন্যাসী।

 

একদিন তব গুরু হয়ে কৃতাঞ্জলি

দুর্গা দশপ্রহরণ-ধারিণী মা বলি

পূজেছিল ভক্তিভরে দেশমাতৃকারে

তারেই জানিলে তুমি ব্রহ্মময়ী বলি এ সংসারে!

‘কায়েন মনসা বাচা’ তাহার সেবাই

ধর্ম অর্থ কাম মোক্ষ হল তব তাই।

সর্ব কর্মফল তাই তাঁরে সমর্পিলে

ধূপসম ও জীবন দহি তিলে তিলে।

 

যে বলে তোমার আরাধনা

শুকসনকের মতো তোমার সাধনা

সকলি হয়েছে ব্যর্থ। মোহমূঢ় সে অভাগ্য সম

নাহি বিশ্বে কোনো জন, শূর-স্বর্গ হতে তারে ক্ষম।

ক্ষমিতে অক্ষম তোমা, সে মূঢ় বাঙালী কভু নয়

অথবা সে কাচ-মূল্যে জাতিজন্ম করেছে বিক্রয়।

 

হে মহাপুরুষ,

তোমার জীবন অকলুষ

আমাদের যাত্রাপথে ধ্রুবতারাসম

তোমা নমোনমঃ

হারাইয়া তব বাহুবল

তোমার আদর্শ ছাড়া বাঙালীর কি আছে সম্বল?

নহ তুমি ভীষ্ম দ্রোণ কর্ণ ভীম, নহ যুধিষ্ঠির

গীতামন্ত্র শুনিবার একমাত্র যোগ্য তুমি বীর।

এ যুগে গাণ্ডীবী তুমি তুমি মহারথ,

তোমা বক্ষে ধরি ধন্য এ মহাভারত।

 

কৃতজ্ঞতা স্বীকার: পশ্চিমবঙ্গ, নেতাজী সংখ্যা, ১৪০৩ বঙ্গাব্দ, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার।