পথে অপচয়?

0
350

পথে

অসহিষ্ণু পরিবেশ আমাকে অস্থির করে তোলে,
হারিয়ে ফেলেছি কিছু অজান্তেই বহুদিন আগে,
মাঝে মাঝে মনে পড়ে ভেসে থাকা কান্নার রোলে,
মানবতা একদিন ভরা ছিল আদরে সোহাগে।

চলে গেছে, স্বাভাবিকই- এতদিন কেন ছিল ভয়ে;
এতো যুগ ধরে কিছু শেখেনি কি বৈধ নিয়ম?
অস্তিত্বসংকট, তবু বুঝি টিকেছে, বিস্ময়ে
আবিষ্ট হই বুঝি? হয়তো বা বাস্তবিক ভ্রম।

তোমার দর্শন নিয়ে উত্তর মিলবে না সহজে,
উপপাদ্য লাগাবে যে, আছে কিছু পূর্বধারণা?
প্রতিকূল দৃষ্টান্ত, প্রতিপদে, তাই নিয়ে মজে
যা কিছু নির্ণয় কর সবই হোক ব্যর্থ আরাধনা।

তবু যেন মনে হয় ঠিকই চলি সৃষ্টির সড়কে,
নাহলে তলিয়ে যাব অন্ধকার অতল গহ্বরে,
হতে পারে ভুল ভাবি, তলিয়ে গিয়েছি প্রেতলোকে,
অন্য পথে তুমি নয় পাড়ি দাও আগামীর ভোরে।

হয়তো দেখবো শেষে পৌঁছেছো উজ্জ্বল প্রভাতে,
আমি সেই হাতড়াই ধ্বংসপ্রাপ্ত নিষ্ঠুর অতীত।
হয়তো দেখব তুমি ঠিক ছিলে তোমার বার্তাতে,
অসম্ভব যদিও তা সে বিষয়ে আমি তো নিশ্চিত।

বাকযুদ্ধ অসমাপ্ত থেকে যাক, ফের অবসরে;
বিতর্কের উল্লাসে কথা দিচ্ছি আবার মাতবই,
কিন্তু সময় কই রণতরী এসে গেছে চরে,
তত্ত্বের থেকে নয় ফলিতেই একবার এগোই।

অপচয়

কবিতা দিবস চলে গেল নিষ্ফলা,
সংহতিটুকু সময়ের সাথে ম্রিয়,
পদবীটুকু সে যাই হোক, নিচুতলা
জুটবে কেবল গেরুয়া উত্তরীয়।

কিছু কথা যায় এভাবে অন্ধকারে,
দিকনির্দেশ হয়ে গেছে বহুদিন,
সমাজের কথা কে আর ভাঙতে পারে,
থেকে যেতে হবে অনামি গোত্রহীন।

গাত্রদাহের কারণ তবুও ছিলে,
কিছু পদাতিক কেমনে না জানি হয়,
শুধু ভেবে দেখ সমাজের মেহফিলে
আসলে তুমি তো নিষ্ঠুর অপচয়।

সে সমাজ আজ ন্যস্ত অন্য কাজে,
সহযোদ্ধার হাজার একটি বর্ম,
আমারই মতন নিজ ফুরসৎ মাঝে
নাটকীয় চালে চালাবে শিল্পকর্ম।

Previous articleআল্লার সাথে ফোনালাপ
Next articleসুশীল সমাজ
রুদ্রদেব
রুদ্রদেব স্বভাবকবি সে বলতে গেলে জন্ম থেকেই।কলম ধরার আগে থেকেই হয়তো কথা আর ছন্দের সঙ্গে তাঁর জন্মেছিল নিবিড় বন্ধন।তাই হয়তো অন্নপ্রাশনেই বেছে নেন কলমকে, পুস্তক কাঞ্চন বাদ রেখেই। গদ্য-প্রবন্ধেও তাঁর আগ্রহ আছে সমানতালে। কাজের ফাঁকে লেখালিখি ছাড়াও তিনি চিত্রকলা এবং ফটোগ্রাফিতেও আগ্রহ রাখেন।