আন্দোলনকারীদের চরম শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভা জখম পুলিশ কর্মীদের পরিবারবর্গের

0
574

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- দিল্লিতে চলমান তথাকথিত কৃষক আন্দোলন যে বহু আগেই দেশবিরোধী আন্দোলনের রূপ নিয়েছিল তা বলাই বাহুল্য। কৃষক আন্দোলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু কামনা করা হয়েছে এমনকি প্রকাশ্য সভায় দেশদ্রোহী বামপন্থীদের মুক্তির দাবিতে তথাকথিত ভণ্ড কৃষকের দল হয়েছেন সরব। কিন্তু সমস্ত সহ্যের সীমা অতিক্রম করে ২৬ শে জানুয়ারী প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ‘অন্নদাতা’ কৃষকের দল লালকেল্লা অভিমুখে ট্রাক্টর মার্চ করেন। এই ট্রাক্টর মার্চের জন্য রুট পূর্ব নির্ধারিত ছিল কিন্তু আন্দোলনকারীরা সেসবের তোয়াক্কা না করে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে পুলিশের ওপর চড়াও হন এবং ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে থাকে। এই ঘটনায় আহত হয় বহু পুলিশকর্মী। তার মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। আন্দোলনকারীরা শেষ পর্যন্ত লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকার চরম অবমাননা করেন এবং খালিস্তানি পতাকা উত্তোলন করেন।

এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গোটা দেশ সরগরম। তদন্তে নেমে পুলিশ ১২ জন কৃষক নেতাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, বুটা সিং বুরজগিল, দর্শনপাল সিংহ, রাকেশ টিকায়েত, সতনাম পান্নু প্রমুখ। অভিযোগ, সেদিনের হিংসাত্মক ঘটনার পেছনে এদের মদত ছিল স্পষ্ট।

সেইদিন কৃষক পুলিশ সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা এবার আন্দোলনরত কৃষকদের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। আমাদের দেশের প্রতিটি পুলিশ কর্মী দিনপাত করে ডিউটি করেন সাধারণ জনগণের সুরক্ষার জন্য। কিন্তু রক্ষাকর্তা যখন হিংসার বলি হয় তখন পরিবার-পরিজনের অবস্থা কতটা বিপন্ন হয় তা সহজেই অনুমেয়। তাদের সাপোর্ট করেছেন দিল্লি পুলিশ মহাসংঘের সদস্যরা। শহিদি পার্কে প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন দিল্লি পুলিশের বর্তমান ও অবসারপ্রাপ্ত অফিসাররা।


সেদিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা স্মরণ করে হেড কনস্টেবল অশোক কুমার জানিয়েছেন, লাল কেল্লায় ডিউটিতে ছিলাম। সেদিন আন্দোলনকারীদের বাধা দিতে গেলে তারা আচমকা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে চড়াও হন এবং এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করে। ফলত বেশ কিছুজন সহকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন এবং আমার পায়ে ও মাথায় মারাত্মক আঘাত লেগেছে। পিএস মডেলে কর্তব্যরত হেড কনস্টেবল সুনিতাও জখম হন।

যদিও সেদিনের হিংসাত্মক ঘটনার দায় নিতে অস্বীকার করেছে কৃষক সংগঠনগুলি। কিন্তু একাধিক ভিডিও থেকে পরিস্কার ১৫ ই আগস্ট জাতীয় পতাকা উত্তোলনের খুঁটিতে খালিস্তানি পতাকা লাগিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। একাধিক পুলিশ কর্মীকে মারধরের পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় বহু গাড়ি।