কংগ্রেসের অবস্থা শোচনীয় ! রাষ্ট্রপতি শাসনের মুখে পুদুচেরি

0
577

বঙ্গদেশ ডেস্ক: পুদুচেরিতে আস্থা ভোটে গো হারান হারের পর ইস্তফা দিয়েছেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। কিন্তু সংখ্যার জটিল সমীকরণে ফেঁসে গিয়েছে বিরোধীপক্ষ। সরকার গঠন করা এই মুহুর্তে সম্ভব হচ্ছে না বিরোধীদের‌ও। আর তাই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে চলেছে কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলটিতে। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সুপারিশ মেলার পর তাতে সম্মতিও দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা।

মাত্র কয়েকদিন অপেক্ষা। তারপরই বাংলা-সহ চার রাজ্য এবং পুদুচেরিতে বহু প্রতীক্ষিত বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ভোটের দিন ঘোষণার আগেই সম্প্রতি ক্ষমতাসীন কংগ্রেস-ডিএমকে জোট সরকার থেকে একের পর এক বিধায়ক ইস্তফা দিতে শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে সোমবার আস্থা ভোট করানো হয় পুদুচেরি বিধানসভায়। কিন্তু তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে চুড়ান্ত ব্যর্থ হন ভি নারায়ণস্বামী।

এরপূর্বে ২০১৬ নির্বাচনে ৩০ আসনের পুদুচেরি বিধানসভায় ১৫টি আসন দখল করেছিল কংগ্রেস। সেসময় জোটসঙ্গী ডিএমকের দুই বিধায়ক এবং এক নির্দল বিধায়কের সমর্থনে সরকার গড়ে তোলে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর পদাসীন হন ভি নারায়ণস্বামী। বিরোধী দল অল ইন্ডিয়া এন আর কংগ্রেস পায় ৮টি আসন। এআইএডিএমকে (AIADMK) জেতে সর্বসাকুল্যে ৪টি আসন। কিন্তু এরপর একাধিক বিধায়কের ইস্তফা শুরু হতে থাকে। পুদুচেরির বিধানসভার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ছিল ২৬। আর ভোটাভুটিতে কংগ্রেস-ডিএমকে জোট পায় মাত্র ১২টি ভোট (সঙ্গে ছিল একজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন)। বিপক্ষৈর ঝুলিতে ১৪টি ভোট। এরপর পরই স্পিকার ভি নারায়ণস্বামীর আস্থা ভোটে কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা তলানিতে ঠেকেছে ঘোষণা করেন। পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের জন্য বিধানসভা মুলতবিও করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই রাজ্যপালের কাছে গিয়ে লিখিত ইস্তফা দেন ভি নারায়ণস্বামী।

অবস্থা শোচনীয় বুঝতে পেরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। তাতেই এদিন সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এরপর কেবল রাষ্ট্রপতির শাসন সই ও সময়ের অপেক্ষা। তারপরই পুদুচেরিতে জারি হতে চলেছে রাষ্ট্রপতি শাসন।