ভারতের ‘ভ্যাক্সিন মৈত্রী’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর

0
670

বঙ্গদেশ ডেস্ক – কোভিড -১৯ টি ভ্যাকসিনের সরবরাহ সুরক্ষিত করতে গিয়ে “ভ্যাকসিন রেস” এবং “ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ” এর মতো কুৎসিত শব্দগুলি বিশ্বের অভিধানে প্রবেশ করেছে। তবে যখন ভ্যাকসিন সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা ন্যূনতম এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন-বিতরণ পরিকল্পনাই এখনও বাস্তবায়িত হয়নি, তখনই চুপচাপ “ভ্যাকসিন কূটনীতি”র পন্থা নিয়ে ভারত এক অন্যরকম পদক্ষেপ নিয়েছে।

দেশের “ভ্যাকসিন মৈত্রী” ক্যাম্পেইনটি অত্যন্ত সফল হয়েছে। অক্সফোর্ড – অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকে লাইসেন্স নিয়ে, কয়েক লক্ষ্য ভারতে তৈরি ‘কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন’ প্রায় ৬০ টি দেশে পাঠানো হয়েছে।

ভারত একটি গ্লোবাল ফার্মাসিউটিক্যাল পাওয়ার হাউস, যা জেনেরিক ওষুধের প্রায় ২০ শতাংশই উৎপাদন করে এবং বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন উৎপাদনের ৬২ % ভারতেই হয়
COVID-19 ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ারও আগে ভারত প্রায় ১০০ টি দেশকে হাইড্রোক্সিলোক্লোরোকুইন এবং প্যারাসিটামল সরবরাহ করেছে। এছাড়া প্রায় ৯০ টি দেশে ফার্মাসিউটিক্যালস সরঞ্জাম, টেস্ট কিট এবং অন্যান্য সরঞ্জাম প্রেরণ করে।

পরে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন অনুমোদনের আগেই, ব্যক্তিগত মালিকানাধীনে থাকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের ৪০ বছর বয়সী আদর পূনাওয়ালা নিজের উদ্যোগে এটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বলা যায় এক বিলিয়ান ডলারের জুয়া খেলেছিলেন তিনি। অনুমোদনগুলি এলে, এসআইআই কয়েক মিলিয়ান ডোজ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিল, যা নিজের দেশে ব্যবহার এবং রফতানির জন্য সরকারের কাছে উপলব্ধ হয়। এভাবেই কংগ্রেস নেতা শশী থারুর ‘প্রজেক্ট সিণ্ডিকেট’ -এ নিজের লেখা কলামে ভারতের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন, বিস্তৃত বিবরণসহ।

আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মায়ানমার।এবং নেপালসহ দেশের অধিকাংশ প্রতিবেশীদের কাছেই ভারতীয় ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। সেশ্যেলস, কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, ক্যারিবীয়ান দ্বীপসমূহ আর আরও আফ্রিকান দেশগুলিতেও ভারত সাহায্য পাঠিয়েছে।