নয়া শিক্ষানীতির পক্ষে সমর্থকরা, জলে গেল SFI-এর আন্দোলনের ডাক

0
2318

বঙ্গদেশ ডেস্ক: কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে মিছিলে অংশগ্রহণ করার জন্য দলের কর্মী ও সমর্থকদের আমন্ত্রন জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন SFI রাজ্য কমিটির সভাপতি শ্রীজান ভট্টাচার্য্য। তবে সেই পোস্টেই তার দলের কর্মী-সমর্থকরা জানালেন যে, নতুন শিক্ষানীতির বিরুদ্ধাচারণ করার কিছুই নেই। তাঁরা অকারণে মিছিল করতে ইচ্ছুক নন।

পোস্টটিতে প্রিয়া ভট্টাচার্য্য নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর মন্তব্য’ আমি বিজেপির তীব্র বিরোধিতা করলেও এক্ষেত্রে নতুন শিক্ষানীতির বিরোধিতা করার কোনো কারন দেখছিনা৷ কারনগুলো জানতে পারলে খুব ভাল হয়’। দীপাঞ্জন গুপ্ত নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী আবার জিজ্ঞেস করেছেন, ‘পছন্দ মত বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ, জিডিপি ১.৬% থেকে বেড়ে ৬%, ভোকেশনাল ট্রেনিং। এগুলোর প্রতিবাদ করবেন?’

পাল সুরেশ নামক এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর মন্তব্য অনুযায়ী ‘এই শিক্ষানীতি কার্যকর হলে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সাধারণ বাঙালি ছাত্রদের সঠিক মুল্যায়ন হবে।’ এর পাশাপাশি সুরেশ SFI কে গঠনমূলক সমালোচনা করার উপদেশও দিয়েছেন৷

পোস্টটিতে সঞ্জয় ঘোষাল নামক এক ফেসবুক ব্যবহার কারী আবার শ্রীজান তথা বামেদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেছেন যে ‘রিজেক্ট অ্যান্ড কালচারের জন্যই মানুষ আপনাদের আজ রিজেক্ট করেছে।’ একই সুরে অখিল কুমার নন্দীও মন্তব্য করেছেন যে ‘ স্বৈরতন্ত্র চলছে নাকী? আপনারা কাল থেকে reject, reject বলেই চলেছেন। এদিকে মানুষের কাছে এটাই পরিষ্কার নয় যে সমস্যাটা কোথায়! সব যায়গাতে বাঁধা বুলি। ভুলে যাচ্ছেন যে আপনারা সরকারে নেই। হ্যুইপ জারি করা-কে মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছেনা।’

প্রসঙ্গত, নতুন শিক্ষানীতিতে ভোকেশনাল কোর্সের অন্তর্ভুক্তি থেকে শুরু করে ১০+২ ব্যবস্থা তুলে দিয়ে ৫+৩+৩+৪ ফর্মুলার প্রণয়ন এবং সর্বোপরি শিক্ষাখাতে জিডিপির ১.৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করা। দেশের শিক্ষানীতিকে ঢেলে সাজাতে একাধিক বৈপ্লবিক পরিবর্তন করতে চাইছে ভারত সরকার।