দলের ব্যানার ছাড়া শুভেন্দুর পদযাত্রায় তৃণমূলের দুই বিধায়ক,বাড়ছে জল্পনা

0
573

বঙ্গদেশ ডেস্ক: নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে বাংলার রাজনীতির পারদ ততই উর্দ্ধগামী।মূলত কেন্দ্র এবং রাজ্যের শাসক দলের মধ্যে এবারের ভোটে যে হাই ভোল্টেজ খেলা হবে তা এখন থেকেই বোঝা যাচ্ছে।তবে বঙ্গ রাজনীতির এই মুহূর্তে সবথেকে চর্চিত নাম শুভেন্দু অধিকারী। দক্ষ সংগঠক এবং দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এই মুহূর্তে জল্পনা চলছে নানা মহলে। দলের সাথে তার দূরত্ব বাড়লেও তিনি তৃণমূল ছাড়ছেন সে কথা এখনো স্পষ্ট করেননি। তবে আজকের একটি মিছিল আবার নতুন করে এই জল্পনা উস্কে দিয়েছে। খেজুরি হার্মাদ মুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে আজ একটি পদযাত্রা করেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু প্রতিবার তৃণমূলের ব্যানারে এই কর্মসূচি হলেও এবার সেটা হয়নি।এমনকি আজকের এই কর্মসূচিতে শুভেন্দুর সঙ্গে মিছিলে হেঁটেছেন শাসক দলের আরোও দুই বিধায়ক। খেজুরির রণজিৎ মণ্ডল এবং কাঁথি দক্ষিণের বিধায়ক বনশ্রী মাইতি।

এবছর নন্দীগ্রাম দিবসের দিনেও শুভেন্দু এবং তৃণমূলের আলাদা দুটি মঞ্চ ছিল।সেদিনের মঞ্চ থেকে বেশ কিছু তাৎপর্য্যপূর্ণ বক্তব্য রেখেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মূলত সেদিন তিনি তার জনপ্রিয়তা এবং শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন। কিন্তু সেদিনের সেই সভাতে তৃণমূলের কেউ ছিলেন না। কিন্তু আজ দুই বিধায়কের উপস্থিতিতে জল্পনা আরও বেড়েছে।

আজ পদযাত্রার মূল ব্যানারে শুভেন্দুকে বাংলার মুক্তিসূর্য্য বলে আখ্যা দেওয়া হয়। খেজুরির বাঁশগোড়া বাজার থেকে কামারদা পর্যন্ত পদযাত্রা করেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, শুভেন্দুকে নিয়ে তৃণমূল এই মুহূর্তে দ্বিধাবিভক্ত। বর্ষীয়ান নেতা তথা সাংসদ সৌগত মধ্যস্থতার চেষ্টা করছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারীর মতো একজন দক্ষ এবং সফল রাজনীতিবিদ হঠকারিতার বসে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। তিনি তৃণমূলে থাকবেন না বিজেপিতে যাবেন নাকি নিজে নতুন দল গড়বেন সেকথা সময় বলবে। তবে এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতিতে তিনি তার শক্তি এবং জনপ্রিয়তা প্রদর্শন করছেন তা স্পষ্ট। তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন কোনো রকম ব্যানার ছাড়া ব্যক্তি শুভেন্দুর ক্ষমতা। আর তার এই বার্তা গভীর তাৎপর্য্য বহন করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল।