রাহুল গান্ধীর নব হঠকারিতা

0
269

শ্রী রাহুল গান্ধী নির্বাচন এলেই হঠকারিতা করে বসেন। গুজরাত নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি সোমনাথ মন্দিরের অহিন্দু রেজিস্টারে নিজ নাম নথিভুক্ত করেন, এতে যে পরিমান বিতর্কের সৃষ্টি হয় তা আয়ত্তে আনার জন্য তাকে “জনেউধারি” ব্রাহ্মণে পরিণত হতে হয়। কেন বিতর্কের সৃষ্টি হল? ঠাকুরদা পারসী, সে হেতু, ফিরোজ খান গান্ধীর বংশধর হিসেবে তো তার কোন গোত্র থাকার কথা নয়। উজ্জয়িনীর মহাকালের মন্দিরে পূজাকালীন কোন গোত্রের নাম নেন নি, হঠাৎ পুষ্কর মন্দিরেই কেন নিতে হল? গোত্র নিলেন কওল দত্তাত্রেয়। এখানেই শেষ নয়, তাঁর পার্টি প্রবক্তা শ্রী দিগ্বিজয় সিংহ একটি নথি দেখান যেখানে মতিলাল নেহেরুর নাম গোত্র নথিভুক্ত করা আছে। মাঝখান থেকে ফিরোজ খান গান্ধী উধাও!

******

গুজরাট বিজেপির এক প্রাক্তন মন্ত্রির বয়ান অনুযায়ী, আমূলের কর্ণধার ভার্গিস কুরিয়ান, খ্রীষ্ঠান ধর্মের প্রচারের জন্য অর্থদান করতেন আমূলের তহবিল থেকে। আমুলের প্রতিষ্ঠাতা কিন্তু কুরিয়ান সাহেব নন, ত্রিভুবনদাস পটেল। এই ত্রিভুবনদাস পটেলের নাম কার্যত আমরা কেউই শুনি নি। এই কুরিয়ান সাহেব যা অর্থদান করতেন তা দিয়ে ধর্মান্তকরন ও হত । কিন্তু কোন ও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন তখন ?

******

মমতা ব্যানার্জী যিনি দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনে বাঁধা দিযেছিলেন ২০১৭ সালে, এক বিশেষ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় যাত্রাকে অগ্রাধিকার দিয়ে, তিনিই আজ পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে একটি নয়, দুটি নয়, দশটি সূর্য মন্দির নির্মাণ করবেন বলে জানিয়েছেন। রশ্ন ওঠে স্বাভাবিক ভাবেই যে একটি এলাকাতেই কেন ১০ টা মন্দির তাও আবার সূর্য মন্দির ? শুধুমাত্র ছট পূজার জন্য কি? নাকি বিজেপির বিস্ময়কর বৃদ্ধিকে প্রতিরোধ হেতু এই ব্যবস্থা?

******

কেরালার বামপন্থী শাসক দল ১৯৫০ সালের একটি আইনে সংশোধন করে সম্প্রতি অন্য ধর্মালম্বী মানুষদের ত্রিবান্কুর  দেবাস্বম বোর্ডে নিযুক্ত করে। শবরীমালা বিতর্কে হিন্দুদের প্রশ্ন ওঠে – ধর্ম সহিষ্ণুতা কি শুধুমাত্র হিন্দুদের কর্তব্য? অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষ কেন হিন্দু রীতিনীতির ওপর আঘাত হানতে উদ্গ্রীব ? দেবাস্বম বোর্ডে কেন অন্য ধর্মাবলম্বিরা যুক্ত? কেরালা হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের হলে বিচারপতিরা রায় দেন যে শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বি দেবাস্বম বোর্ডের সদস্য হতে পারবেন।

*******

টুইটারের অধিকর্তা জ্যাক ডরসে নানান মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন। সেপ্টেম্বর মাসে তিনি আমেরিকার কংগ্রেসের সামনে মিথ্যা বয়ান দিয়েছেন বলে অভিযোগ ।তাঁর বয়ানে তিনি অস্বীকার করেছেন যে তিনি টুইটারে কোনরকম প্রহরতা বা সেন্সরশিপ নাকি দেখান না।আমেরিকার সংরক্ষণবাদিদের দাবি জ্যাক তাঁদের বক্তব্য আড়াল করে প্রগতিশীলবাদিদের প্রতি পক্ষপাত করেন । ভারতেও তিনি এইরকমই আচরন করেছিলেন কদিন আগেই – পিতৃতন্ত্র নিপাত যাক – এই প্রচারে সামিল হয়ে। তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হতে হযেছিল তাঁকে!