উত্তরপ্রদেশে নাবালিকা হিন্দু কন্যাকে লাগাতার ধর্ষণের অপরাধে অভিযুক্ত শাকিবকে গ্রেফতার করল পুলিশ

0
636

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- কট্টরপন্থীদের কবল থেকে আট থেকে আশি বছর বয়সী কোন‌ও মহিলা কখনও সুরক্ষিত নয়। সেটা অন্যের বাড়ির মা-বোন হোক বা নিজের বাড়ির স্ত্রী, কন্যা। এমনকি পশুরাও এই মৌলবাদীদের লালসা থেকে নিস্তার পায় না।আর এটা বার বার প্রমাণ হয়েই চলেছে। নাস্তিকেরা আবার দাবি করেন , কোরাণে নারীদের শস‍্যক্ষেত্র বলে উল্লেখ করা আছে।

কট্টরপন্থী দ্বারা হিন্দু নারী নির্যাতনের একটি ঘটনা ঘটেছে যোগীর রাজ্যে।অপ‌ইন্ডিয়ার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বাগপত অঞ্চলের কাঁকরখেদা থানারপুলিশ সীমান্তবর্তী সিধওয়ালি গ্রামের ১৫ বছরের এক নাবালিকাকে ছয় মাস ধরে অপহরণ ও ধর্ষণ করার অপরাধে অভিযুক্ত শাকিবকে গ্রেফতার করেছে। অপরাধীকে দেরাদুন-দিল্লি হাইওয়ে থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ, সেই মুহূর্তে অভিযুক্তর সঙ্গে ছিল নাবালিকা ওই তরুণী।

ঘটনা পরম্পরায় জানা গিয়েছে ২০২০ সালের ৩১ মে মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরিবার দাবি, তৎক্ষণাৎ তারা অভিযুক্ত শাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল কিন্তু পুলিশ এ বিষয়ে বিশেষ আমল দেয়নি। বেশ কিছুদিন ধরে তারা নিজেরাই খোঁজাখুঁজির চেষ্টা করে শেষমেষ সন্ধান না পেয়ে স্থানীয় হিন্দু গোষ্ঠী ‘হিন্দু জাগৃতি মঞ্চ’-এর দ্বারস্থ হন।

হিন্দু জাগৃতি মঞ্চের অন্যতম কার্যকর্তা শচীন সিরোহির বক্তব্য, নাবালিকা অপহরণের প্রতিবাদে স্থানীয় জনগণ আওয়াজ তুললেও পুলিশ মেয়েটির সন্ধানের জন্য কোন‌ও রকম তৎপরতা দেখায়নি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে, অক্টোবরের শুরুর দিকে, তার নেতৃত্বে, মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা এবং হিন্দু জাগৃতি মঞ্চের অন্যান্য সদস্যরা একত্রে থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সংগঠনের পরিবারের পক্ষ থেকে জোর দিয়ে পুলিশকে জানানো হয়, অভিযুক্ত শাকিব কর্তৃক নাবালিকা মেয়ে অপহরণের মামলাটি সবিনয়ে পর্যবেক্ষণ করার জন্য ডিএম এবং ডিআইজি উভয়কেই অনুরোধ করা হয়েছে। এই কথা শুনে পুলিশ নড়েচড়ে বসে। এসপি তপেশ্বর সাগর তাদের আশ্বস্ত করেন যে পুলিশ শীঘ্রই অপহৃত মেয়েটিকে উদ্ধার করবে।

ইতিমধ্যে উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নারী সুরক্ষার জন্য ‘মিশন শক্তি প্রকল্প’ চালু করেছেন এবং তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন,, এই রাজ্যে মা বোনদের সন্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেললে তাকে বুঝে নেওয়া হবে। তার অন্তিম পরিণতি হবে ‘রাম নাম সত্য’ যাত্রা। সেইমতো পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য তদন্তকারী দল সিট গঠন করে। জানা গিয়েছে, রবিবার মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত শাকিব মেয়েটিকে নিয়ে দিল্লিতে পালাতে চেয়েছিল। দিল্লি-দেরাদুন হাইওয়ে থেকে পুলিশ অভিযুক্ত শাকিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশের জেরার মুখে অভিযুক্ত স্বীকার করেছে, মেয়েটিকে একটি ইটের ভাটাতে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। সেখানে কাজ করানোর পাশাপাশি তাকে বাড়ির দাসবৃত্তিও করিয়েছে সে। শাকিব একথাও স্বীকার করেছে যে, মেয়েটিকে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়েছে।