বঙ্গদেশ ডেস্ক: গত ৪ দফা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে৷ সর্বশেষ শীতলকুচিতে একটি বুথে জীবনে প্রথমবার ভোট দিতে গিয়ে মৃত্য হয় সদ্য কৈশোর পেরনো আনন্দ বর্মণ। এখানেই শেষ নয়, পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে আকার ধারণ করে। এমনকি এক হিন্দু মায়ের কোল থেকে সন্তান ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটে। ফলে কড়া অবস্থান নিতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। একসময় স্থানীয় উগ্র মুসলিম জনতা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করে এবং হামলা করে৷
ফলে কোন উপায় না দেখে, শেষে আত্মরক্ষার জন্য কেন্দীয় বাহিনীর জওয়ানরা গুলি চালায়। এতে স্থানীয় চার মুসলিম দুষ্কৃতী নিহত হয়। ঘটনাটিকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন্দ্র সরকারের হয়ে কাজ করছে। কিন্তু অন্যদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসভা থেকে কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার নির্দেশ দিয়েছিলেন দলীয় সমর্থকদের। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর প্রসঙ্গে উঠে আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মন্তব্য।
ইতিমধ্যেই নির্বাচম কমিশন এর ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারের ওপর ২৪ ঘন্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বসে তিনি ধর্ণা দেন। অন্যদিকে গুলি চালানো প্রসঙ্গে কড়া বার্তা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা-আক্রমণ হলে, আত্মরক্ষার্থে গুলি চলবেই। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ফলে বোঝা যাচ্ছে যে, যে কোন হামলা-আক্রমণ-অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্যে নির্বাচন কমিশন তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। তবে এরপরেও কেউ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার উস্কানী দিলে তা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক।