ফের কাঁটাতার টপকে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, অসমে ঢুকতেই গ্রেপ্তার ১৩

0
872

বঙ্গদেশ ডেস্ক: মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতের বিভিন্ন সীমান্তে ঢুকে পড়ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। এই ধরনের অনুপ্রবেশের খবর মিলছে প্রায়শয়ই। তবে এবার কাঁটাতার পেরিয়ে ত্রিপুরা ঢুকে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রোহিঙ্গারা অসমে পৌঁছে গেল। তবুও শেষরক্ষা হয়নি। অসমের প্রবেশ করে ১০০ মিটারের মধ্যেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল শিশু, মহিলা-সহ ১৩ জন রোহিঙ্গা। ঘটনার পর থেকে ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তে জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা।

ত্রিপুরার সীমান্ত অঞ্চল অতিক্রম করে রাজধানী আগরতলা থেকে জাতীয় সড়কের উপর থাকা কয়েকটি থানার পুলিশের চোখে ধুলো দিয়েই তারা এগিয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অসমের চুরাইবাড়ি পুলিশের হাতে ধরা পড়লো বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের এই দলটি।

এদের থেকে জানা গিয়েছে এরা প্রত্যেকেই ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছিল। সেখান থেকে পালিয়ে অবৈধ উপায়ে দালালচক্রের সাহায্যে ত্রিপুরায় প্রবেশ করে। মঙ্গলবার রাতে রাজধানী আগরতলা থেকে রায়ান ট্রাভেলসের নৈশকালীন বাসে করে প্রথমে গুয়াহাটি যাওয়ার জন্য রওনা দেয় তারা। ধৃতদের জেরা করে এসব তথ্য হাতে পেয়ে অবাক হয়ে গিয়েছেন পুলিশ কর্তারাই। আগরতলা থেকে চুরাইবাড়ি পর্যন্ত জাতীয় সড়কের ওপর রয়েছে অনেকগুলি থানা। তল্লাশির আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা থাকলেও কী করে রোহিঙ্গারা ত্রিপুরা থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হল? এ প্রশ্নের উত্তর নেই।

তবে শেষ পর্যন্ত তাদের আটকানো সম্ভব হয়েছে। অসম পুলিশের তৎপরতায় ত্রিপুরা চুরাইবাড়ি গেট পেরিয়ে ১০০ মিটারের মধ্যে পৌঁছাতেই থানার হাতে ধরা পড়ে যায় এই রোহিঙ্গারা। জানা গিয়েছে, ধৃত ১৩ জন রোহিঙ্গা দিল্লি, জম্মু-কাশ্মীর এবং হায়দ্রাবাদ যাওয়ার উদ্দেশে বেরিয়েছিল। তাদের এই দলে শিশু থেকে মহিলা, যুবক – সবাই রয়েছে। তাদের কাছে ভারতীয় মুদ্রার পাশাপাশি বাংলাদেশি মুদ্রাও পাওয়া গিয়েছে। অসম পুলিশ তাদের আটক করে মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এর আগেও অনেক নাইজেরিয়ান-সহ বিদেশী যুবক, যুবতী বাংলাদেশ থেকে আগরতলায় দালাল চক্রের মাধ্যমে প্রবেশ করে একইভাবে জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে অসমে প্রবেশ করা মাত্রই অসম পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল।