মার্কিনী সেনার বুটের আওয়াজে কাঁপছে বেজিং

0
688

বঙ্গদেশ ডেস্ক: গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে যুদ্ধ যুদ্ধ সাজ লেগে রয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়। দুইপক্ষ একে অপরের সাথে বহুবার বৈঠকে বসে শান্তির পথ নিয়ে আলোচনা করলেও দুটি দেশই ১৫ তারিখের সংঘর্ষের পর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে সেনা, যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করেছে। এর মধ্যেই জাপান মিসাইলের মুখ চীনের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীও হাতে হাত গুটিয়ে বসে নেই। জাগুয়ার, সুখোই যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে T-90 ভীষ্ম ট্যাংক মোতায়েন করে চীনের স্নায়ুচাপ বাড়িয়েছে তারা। এরই মাঝে আমেরিকাও এবার চাপ বাড়ালো বেজিং-এর৷

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনের এই আগ্রাসন মেনে নিতে পারছে না হোয়াইট হাউস। চীনকে উচিত শিক্ষা দিতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তারা। মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেওয়ের বক্তব্যেই স্পষ্ট যে বিপুল পরিমান মার্কিনী সেনা আসছে চীনের মোকাবিলায়। বৃহস্পতিবার ব্রাসেলস ফোরামের ই-সম্মেলনে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও জানান যে ভারত সীমান্ত ও দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের দাদাগিরির কারণেই ইউরোপ থেকে মার্কিন সেনা সরানো হচ্ছে। জার্মানি থেকে সেনা সরিয়ে চীনের উদ্দেশ্যে পাঠানো হচ্ছে।

মাইক এদিন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নীতিরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন ‘চীনে কমিউনিস্ট পার্টির উপস্থিতি শুধু ভারতের জন্যই নয় ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া,মালেশিয়া, ফিলিপিন্সের জন্যও ক্ষতিকর। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের বাড়বাড়ন্ত নিয়েও ক্ষুব্ধ আমেরিকা।’ তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট, চীনের মোকাবিলায় আমেরিকা যথাযথভাবে সেনা নিয়োগ করতে প্রস্তুত৷

ভারতের সাথেই শুধু নয়, প্রায় ১৩-১৪টি দেশের সাথে চীনের সীমান্ত সমস্যা লেগেই রয়েছে৷ বেজিং ভেবেছিল ১৫ই জুন গালওয়ান উপত্যকায় কাপুরুষোচিত হামলার পর আলোচনার টেবিলে সুর নরম করবে ভারত। কিন্তু ভারত সুর নরম তো করেইনি বরং ভারত সহ বিভিন্ন দেশে চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বেড়েছে। ওয়াশিংটনের সাথে হৃদ্যতা আরো বেড়েছে ভারতের। তাই কাজেই এখন মার্কিনী সেনা চীন মোকাবিলায় ইউরোপ থেকে রওনা দিলে বেজিং সেই শব্দে কাঁপবে বৈকি।