মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা খোলা চিঠি

0
327

মাননীয়া শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, 

অনেক ঝুঁকি নিয়েই আপনাকে এই চিঠি লিখছি। বিশেষত এই রাজ্যে যখন আপনাকে অপ্রিয় প্রশ্ন করলে বিজেপি তকমা নিয়ে জেলে যাওয়াই দস্তুর তখন এই চিঠি লেখা অবশ্যই ঝুঁকির। এমনকি আমি নিশ্চিত আমার পরিবার ও প্রিয়জনেরা এই চিঠির দরুন নিদারুন দুশ্চিন্তায় পড়বে আগামীকাল থেকে। কিন্তু তাও কি করব বলুন,একে বাঙালি তায় অবুদ্ধিজীবি তাই ঝুঁকি নিয়েই আপনাকে কতগুলো প্রশ্ন করা এবং কিছু কথা বলা দরকার বলে মনে করলাম।

আপনি যখন সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করতেন তখন আপনাকে দিদি বলতাম। তারপরে আপনি সিপিএমকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। ক্রমশ দিদি থেকে পিসি হয়েছেন। কিন্তু তাও এখনও যখন আপনার সম্বন্ধিত কোন সিরিয়াস রাজনৈতিক মন্তব্য করি আপনাকে দিদি বলেই সম্বোধন করে থাকি। এই চিঠিতেও আপনাকে দিদি বলেই সম্বোধন করব। চিঠিটা হয়ত খানিকটা দীর্ঘ হবে। তাও পারলে একটু পড়বেন। উত্তরের আশা আপনার কাছ থেকে করিনা আর। এখন আপনি আর আমাদের নন। এখন আপনি রাজীব কুমারদের।

শ্রী অমিত শাহের উত্তর কলকাতার রোড শো ঘিরে যা ঘটল এককথায় বলি তা লজ্জাজনক। লজ্জাজনক শুধু এই জন্য নয় যে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে বাঙালি আবেগ জাগিয়ে তুলে নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা হল বলে। লজ্জাজনক এই কারণে, এই ঘটনা চূড়ান্তভাবে প্রমান করল যে পশ্চিমবাংলায় এই মুহুর্তে গণতান্ত্রিক পরিসর চূড়ান্ত ভাবে বিপন্ন। আপনি নানাভাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করে গেলেন বিজেপি বাঙালি ভাবাবেগকে মর্যাদা দেয়না বলে নির্দ্বিধায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে। কিন্তু তার আগের কিছু জিনিষ আপনি সন্তর্পনে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন বা বলা ভালো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেন।

প্রথমেই আপনি কিছু তথাকথিত ছাত্রছাত্রীকে হাজির করলেন পরে দেখা গেল যারা আদৌ ছাত্র নয়। প্রথমে তারা নিজেদের ছাত্র ছাত্রী হিসাবে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করলেন; তারপরে বললেন তারা কলেজে সার্টিফিকেট নিতে গেছিলেন। আপনার জমানায় দেখছি আমাদের শিক্ষা দপ্তর ২১শে জুলাইয়ের ছুটি বা তৃণমূলের ব্রিগেড মিটিঙের ছুটির কারণে নষ্ট হওয়া দিনের কাজ সারা বছর ওভার টাইম করে পূরণ করে। নাহলে আর কোন কলেজে সন্ধ্যে সাতটার সময় সার্টিফিকেট বিলি করার কাজ চলে বলুন?

আরেকটি ঘটনা হল সেদিন কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং বিদ্যাসাগর কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা অমিত শাহকে কালো পতাকা দেখানোর জন্য জড়ো হয়েছিলেন। তা হতেই পারে তারা। তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার এটা। আর অমিত শাহও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। তিনি “চৌকিদার চোর” হ্যায় শুনলে গাড়ি থেকে নেমে কাউকে তেড়ে যাবেননা বা কাউকে গ্রেপ্তার করাবেন না। কিন্তু প্রশ্ন হল কলেজ বা ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাবে বলে জড়ো হয়েছে সেখানে এতো বহিরাগত কেন? বহিরাগত যে ছিল এটা অস্বীকার করা আপনার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ এক বহিরাগতের দাবী মিছিল থেকে ছোঁড়া ইটের ঘায়ে তার হাতে চিড় ধরেছে। দ্বিতীয় প্রশ্ন – কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ করার কথা থাকলে সেই জমায়েত থেকে অমিত শাহকে তাক করে বোতল এবং ইট কেন ছোঁড়া হল? বোতল এবং ইট ছুঁড়ে মারা কি এখন গণতান্ত্রিক অধিকারের পর্যায়ভুক্ত হয়েছে নাকি ওটা বিশেষ তৃণমূলি অধিকার?

ঘটনার পরে দুদিন হয়ে গেছে। কোন সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে যেহেতু হার্ডডিস্ক গত দুই মাস ধরে থানায় জমা করা আছে তাই সিসিটিভি ফুটেজ নেই। আচ্ছা দিদি সিসিটিভি ফুটেজটার দশাও কি সারদার সেই লাল ডায়েরির মতোই হল? কেন জানিনা মনে হচ্ছে সারদার লাল ডায়েরি আর সিসিটিভি ফুটেজ দুটোরই একই দশা হল।

কি জানেন দিদি মূর্তি ভাঙা বিদ্যা মহা বিদ্যা যদি না খায় ধরা। এই মূর্তি ভাঙা প্রসঙ্গেই আরও একটি ঘটনার কথা মনে পরে গেল।তখন আপনি সিঙ্গুর আন্দোলনের নেত্রী। তদানীন্তন বামফ্রন্ট সরকারের পুলিশ আপনাকে আটকাল সিঙ্গুর যাওয়া থেকে।আপনি তার প্রতিবাদে বিধানসভায় এসে ধর্নায় বসলেন। আমাদের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী, তৎকালীন বিরোধী দলনেতা শ্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নির্বিচারে ভাঙচুর চলল সেই একই বিধানসভার অভ্যন্তরে। তাই নিয়ে সন্ধ্যে থেকে শুরু হল বামেদের কান্নাকাটি। নেতাই, নন্দীগ্রাম ঘটানো বামেরা হাহাকার জুড়ে দিল গণতন্ত্রের হত্যা নিয়ে। পরের দিন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বিধানসভায় নিয়ে গিয়ে দেখানো হোল কিভাবে আপনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের হত্যা করা হয়েছে। দিদি সেই ঘটনার নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট আপনার উপরে ছিল জিরো। কেন জানিনা এবারেও বিজেপির উপরে মূর্তি ভাঙার ঘটনার ইম্প্যাক্ট মনে হচ্ছে জিরো।আপনি আমার থেকে আরও ভালো বুঝবেন। তবে আপনাকে দেখে রাজনীতির অনেক কিছু শিখেছি বলে একটা জিনিষ জানি যে রাজনীতিতে টাইমিংটাই আসল। যাইহোক আশা করব আপনি আমাদের মুখের উপরে সিসিটিভি ফুটেজ ছুঁড়ে মেরে প্রমাণ করে দেবেন যে আপনি সততার প্রতীক। আমরা তাহলে আবার রাস্তায় রাস্তায় আপনার ছবি দিয়ে হোর্ডিং লাগাব সততার প্রতীক বলে।

দিদি আপনি বলছেন বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে বলে আপনি বাঙালি হিসাবে লজ্জিত। কিন্তু দিদি আপনার নানাবিধ কর্মকাণ্ডে যে বাঙালি বারংবার বিড়ম্বিত হচ্ছে তার সমাধান কি হবে?

দেখুন সেদিন আপনি মাত্র ২৮ মিনিটের মধ্যে বিদ্যাসাগর কলেজে পৌছে গেলেন। ভাঙা মূর্তির টুকরো তুলে গুছিয়ে রাখলেন।কিন্তু দিদি এই ভোট মরসুমের আগেই একদল ছেলে মেয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে বসে ছিল ২৮ দিন ধরে। তাদের পাওনা নায্য চাকরির দাবীতে। সেখানে আপনার যাওয়ার সময় হয়েছিল ২৮ দিন পরে। গিয়েও অবশ্য কিছু ফাঁকা প্রতিশ্রুতি ছাড়া অন্য কিছুই তাদের জন্য বরাদ্দ করেননি। আপনি চলে আসার পরে রাত্রি বেলায় অবশ্য আপনার পুলিশ তাদের মারধোর দিয়ে তুলে দেয়।আচ্ছা দিদি আপনার কি মনে হয়না সেদিন বিদ্যাসাগর বাঙালি হিসাবে লজ্জিত হয়েছিলেন? কিংবা আপনি যখন ম্যাজিক দেখিয়ে আপনার দলে সদ্য যোগ দেওয়া একজনের মেয়েকে মেধা তালিকার শেষ থেকে উপরে তুলে আনলেন। সে চাকরি পেল। তার বাবা ভোটের টিকিট পেল। সেদিন কি দিদি আপনি বাঙালির মর্যাদা রেখেছিলেন নাকি বিদ্যাসাগরের?

শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা এখন পিছোতে পিছোতে ৩৫ নম্বরে নেমে এসেছি। বছরের পর বছর আপনি মাদ্রাসা শিক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়াতে বাড়াতে এখন উচ্চ শিক্ষা এমনকি শিল্পের থেকেও বরাদ্দ বাড়িয়েছেন। এদিকে একের পর এক সরকারী স্কুল উঠে গেছে।দিদি এই সরকারী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন হয়েছিল মহামতি বিদ্যাসাগরের হাত দিয়ে।সেই শিক্ষাব্যবস্থাকে লাটে তুলে দেওয়ার পরে আজ আপনি বিদ্যাসাগরের জন্য কাঁদলে লোকে তো তাকে কুম্ভীরাশ্রু বলেই মনে করবে।

দিদি আপনার পার্কস্ট্রীট কান্ডের কথা নিশ্চয় মনে আছে। মনে থাকারই কথা। নুসরত ম্যাডাম তো এবারে টিকিটও পেয়েছেন।আপনার নিশ্চয় কাটোয়ার সেই মহিলার কথা মনে আছে যিনি ধর্ষিতা হওয়ার পরে আপনি বলেছিলেন “ওনার স্বামী সিপিএম করেন”। আচ্ছা দিদি এইসব ঘটনার পরে বা পশ্চিমবঙ্গ নারী পাচারে বা নারীদের উপরে হওয়া অত্যাচারের ক্ষেত্রে এক নাম্বারে উঠে আসার পরে কি আপনার মনে হয়নি যে বিদ্যাসাগরের বাংলা এতে অপমানিত বোধ করছে। নাকি তখন ভোট ছিলনা বলে আমরা কি ভাবছি না ভাবছি সে নিয়ে আপনি ভাবার দরকার বোধ করেননি। তখন আপনার কাছে মুখ্য বিষয় ছিল নীল সাদা রং আর রাস্তার ধারের ত্রিফলা। আপনিই ভালো বলতে পারবেন, আপনার কাছে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মুখ্য কোনটা ছিল। তবে আমাদের কেন জানিনা মনে হয়েছে পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পশ্চিমবাংলা মুখ্য বিষয় ছিলনা। বরং তার কাছে মুখ্য বিষয় ছিল হিল্লি দিল্লী ব্যাঙ্গালোর করে বেড়ানোর। আপনি বছর বছর কোটি কোটি টাকা খরচা করে শিল্প সম্মেলন করছেন। সেসবের বরাত নিশ্চয় আপনার লোকজনেরা পাচ্ছে। কিন্তু বরাত খুলছেনা আমাদের। বড় বড় শিল্পপতিরা আসছেন। ছেলেদের জন্য চাকরি আর কেউ আনছেনা। আপনার কি মনে হয়না দিদি এতে বাঙালির অপমান করা হচ্ছে। আজকে যখন একজনকে চাকরির জন্য বাড়িতে বুড়ো বাবা মাকে ফেলে রেখে চলে যেতে বাধ্য করছেন আপনি তখন প্রকারান্তরে সেটা বাঙালিকেই অপমান করছেন? পার্ক স্ট্রীট,কাটোয়া,কামদুনি একের পর এক ঘটনায় বিদ্যাসাগরের আদর্শকেই এই রাজ্যে ছুঁড়ে ফেলা হয়নি?

আচ্ছা যখন আপনি পাঠ্যপুস্তকে সিঙ্গুর আন্দোলনের নামে নিজেকে চাপিয়ে দিয়েছিলেন কিংবা যখন প্রাইমারী ক্লাসের ছোট ছোট বাচ্ছাগুলোকে কথাঞ্জলি পড়তে বাধ্য করেছিলেন তখন নিজেকে ঠিক কি ভেবেছিলেন? মুখ্যমন্ত্রী না বিদ্যাসাগর?

আপনি কি জানেন বিদ্যাসাগর তার শেষ জীবন সাঁওতাল পরগনার আদিবাসীদের মধ্যে কাটিয়েছিলেন। যখন শুধুমাত্র বিরোধী রাজনীতি করার কারনে ত্রিলোচন মাহাতো, দুলাল কুমারদের ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যখন ক্ষমতা দখলের জন্য নির্মম হত্যালীলায় মেতে উঠেছিল আপনার দল আর আপনি সব দেখেও দেখেননি তখন কি আপনি বিদ্যাসাগরের আদর্শকে বারেবারে হত্যা করেননি?

কলকাতার রাস্তায় একের পর এক উর্দু ভাষার বোর্ড লাগিয়ে গেছেন। উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য হত্যা করেছেন রাজেশ, তাপসের মতো দুটো বাচ্চা ছেলেকে। তখনই আমরা জেনেছি বিদ্যাসাগরের আদর্শের প্রতি আপনি আসলে কতটা শ্রদ্ধাবান। যখন আপনি তিন তালাক বিরোধী আইনের বিরোধিতা করেছেন তখন সে বিষয়ে আমরা আরও নিশ্চিত হয়েছি।

আপনি হলেন আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। আপনার দায়িত্ব প্রশাসনিক। কিন্তু আপনি সেটি বাদ দিয়ে সব করেছেন।আপনি আমাদের চপ ভাজতে বলেছেন। একটা কন্যাশ্রী দিয়ে নারী পাচারে অগ্রগতি,মহিলাদের বিরুদ্ধে ঘটা অপরাধে শীর্ষস্থান সব ঢাকতে চেয়েছেন। বস্তুত আপনি প্রশাসনিক দায়িত্ব বাদ দিয়ে সবই করেছেন। তাই আজ আপনি বিদ্যাসাগরের চাদরের নীচে সেসব ঢাকার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তা কতদূর সম্ভব হবে সেটা মানুষই বলবে। একদিকে আলুচাষির দুরাবস্থা, অপরদিকে শিল্পহীন শ্মশান। মধ্যবিত্তের উপর বিদ্যুতের বাড়তি বোঝা। নিছক বিরোধিতার নামে আবাস যোজনা,আয়ুষ্মান ভারতের মতো প্রকল্পের সুযোগ না পেতে দেওয়া মানুষকে আপনার উপরে বিরক্ত করে তুলেছে। তারা কতটা বিরক্ত হয়েছে তা আমরা আগামী ২৩ তারিখ বুঝতে পারব। কিন্তু এটুকু বলতে পারি তারা বিদ্যাসাগর নিয়ে আপনার এই নাটক ধরে ফেলেছে। রাস্তাঘাটে কান পাতলেই সেটা বোঝা যায়। তারা কিন্তু ডায়মন্ড হারবারে কি হচ্ছে সেটাও দেখছে। কিছু ভণ্ড বাম বুদ্ধিজীবি আর আপনার আচলে বাঁধা থাকা কিছু ধান্দাজীবি ছাড়া আর কেউই আপনার নাটকে বিশেষ প্রভাবিত হয়নি। তাই এই নাটকের ফল আপনার জন্য বিশেষ শুভ হবে বলে মনে হয়না। অন্তে ফল সিপিএমের বিধানসভা ভাঙচুর নিয়ে কুম্ভীরাশ্রু বর্জনের সমতুলই হবে।

যাইহোক ভালো থাকবেন।এই চিঠি লেখার কারণে হয়ত আমি গ্রেপ্তার হব বা আমার উপরে হয়ত আপনার সিন্ডিকেট বাহিনী আক্রমণ নামিয়ে আনবে। কিন্তু এই কথাগুলো তখনও রয়ে যাবে। তবে আপনাকে ধন্যবাদ বহুবছর বাদে আবার বিদ্যাসাগরকে জাতীয় পরিসরে প্রাসঙ্গিক করে তোলার জন্য। বিদ্যাসাগর মশাই সারা জীবন তাঁর মেরুদণ্ড সোজা রেখে সমাজের সর্বাঙ্গীন উন্নতির জন্য লড়ে গেছেন। আর এখন আপনার লড়াই সমাজের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার জন্য যাতে আপনার ভাই ভাইপোরা সারা জীবন এমনই দুধেভাতে থেকে যেতে পারে। বাংলার মানুষ তা কতটা মেনে নেবে বা নিয়েছে তা আর কয়েকদিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

ইতি,

আপনার এক প্রাক্তন গুণমুগ্ধ