বঙ্গদেশ ডেস্ক:- চতুর্থ আয়ুর্বেদ দিবসে দেশবাসীকে ধামাকাদার উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের দুই রাজ্যে দুটি অত্যাধুনিক আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকেন্দ্রের উদ্বোধন সারলেন মোদী। সেই সঙ্গে দেশের প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিতে আরও জোর দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
এদিন গুজরাটের জামনগরে আয়ুর্বেদ শিক্ষা এবং গবেষণা কেন্দ্র (Institute of Teaching and Research in Ayurveda) এবং রাজস্থানের জয়পুরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপাণি (Vijay Rupani), দুই রাজ্যের রাজ্যপাল ও জনপ্রতিনিধিরা।
World Health Organisation is establishing the WHO Global Centre on Traditional Medicine in India, to strengthen the research on traditional medicines: Prime Minister Narendra Modi on Ayurveda Day https://t.co/JMKBXP7f5C pic.twitter.com/DRELE4iz6B
— ANI (@ANI) November 13, 2020
দুই অত্যাধুনিক আয়ুর্বেদ সেন্টারের উদ্বোধনকালে করে মোদী বলেন, উপযুক্ত সময় আগত দেশের প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি এবং আয়ুর্বেদিক গবেষণায় জোর দেওয়ার জন্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পর্যন্ত আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ওপর জোর দিয়েছে। গবেষণার জন্য তৈরি করেছে আলাদা গ্লোবাল সেন্টার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোটা বিশ্বজুড়ে এখন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা বেড়ছে। মোদী বলেন, এবছরই সংসদের বাদল অধিবেশনে সংসদে দুটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
Prime Minister Narendra Modi inaugurates the Institute of Teaching and Research in Ayurveda, Jamnagar (Gujarat) and National Institute of Ayurveda, Jaipur (Rajasthan), via video conferencing#AyurvedaDay pic.twitter.com/TWRvCOWjSO
— ANI (@ANI) November 13, 2020
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার জন্য আলাদা কমিশন তৈরি হয়েছে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ওষুধ তৈরির জন্য আলাদা কমিশন তৈরি করা হয়েছে। এমনকী জাতীয় শিক্ষানীতিতেও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ১৩ নভেম্বর ধন্বন্তরি জয়ন্তীকে আয়ুর্বেদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতি বছর এই দিনটিতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে এই চিকিৎসা সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সম্মান জানানো হয়। এবছরও সেই ঘটনার ব্যতিক্রম হয়নি।