বাংলাদেশে আবারও কালী প্রতিমা ভাঙচুর, অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পূজার আয়োজন

0
925

বঙ্গদেশ ডেস্ক: কাগজে কলমে বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বলা হলেও বাস্তবটা যে কতোটা ভিন্ন তা বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের হিসাব দেখলেই বোঝা যায়। হিন্দুদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত, ধর্মীয় স্থান ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, হিন্দু সম্পত্তি জবরদখল -লুট-অগ্নিসংযোগ যেন একপ্রকার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার সেখানে। এবার বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় ঘটে গেলো আরও একটি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা।

আগামীকাল কালী পূজা। সকল স্থানে তারই প্রস্তুতি চলছে। শনিবার রাতে, ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার ডৌহখাল ইউনিয়নের সিংজানি গ্রামে মা কালীর একটি নির্মীয়মাণ প্রতিমা ভাঙচুর করেছে উগ্র মুসলিমরা। সূত্র থেকে জানা যায়, শনিবার গভীর রাতে একদল উগ্র মুসলিম মন্দিরে প্রবেশ করে এবং নির্মাণাধীন মা কালীর প্রতিমার হাত -মাথা ভেঙে ফেলে। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় কাউকে এখনও আটক করা হয়নি। স্থানীয় হিন্দুদের বক্তব্য, পুলিশ আসামী গ্রেফতারে উদাসীনতা দেখিয়ে কালক্ষেপণ করছে।

ঘটনার পর স্থানীয় হিন্দুরা ক্ষুব্ধ, হতাশ ও বাকরুদ্ধ। কদিন পরেই কালীপূজা। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রতিমা পুনরায় নির্মাণ করা সম্ভব নয়। তাই অত্র স্থানের কালীপূজা আয়োজন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে! অন্যদিকে স্থানীয় হিন্দুরা বাংলাদেশে একের পর এক হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা পর তাদের নিজেদের এলাকা আক্রান্ত হওয়া দেখে আতঙ্কিত অবস্থায় জীবনযাপন করছে। কারণ স্থানীয় হিন্দুরা বুঝে গেছেন যে তাদের শত প্রতিবাদ নিষ্ফলা ছাড়া কিছুই নয়। বাংলাদেশের মতো ইসলামিক রাষ্ট্রে তারা কাফের ব্যতীত কিছুই নয়। কারণ প্রতিটি হিন্দু নির্যাতনের ঘটনাতেই সরকার ও প্রশাসনের নীরব সমর্থন থাকে। ফলে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা যেমন দিন দিন বাড়ছে তেমনই সকল হিন্দু বসবাসকারী প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়েছে। অবস্থা অনেকটাই এমন যে হিন্দু নির্যাতন বাংলাদেশের মুসলমানদের নৈতিক অধিকার, তা কোন অপরাধ নয়।