বাংলাদেশের মন্দিরে গোমাংস; শরিফুল সহ ৪ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দিলো হিন্দুরা

0
636

বঙ্গদেশ ডেস্ক : বাংলাদেশের নীলফামারীর ডোমারে কালীমন্দিরে মাংসের টুকরা ছুড়ে মারার সময় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৪জনকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এলাকাবাসী।

ধৃতদের রবিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ধৃতদের নাম, বামুনীয়া কালীতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম মানিক, পশ্চিম বোড়াগাড়ী কলেজ পাড়ার শফিক মিয়া, বড় রাউতা মাঝাপাড়া গ্রামের ফুলেশ্বর বর্মণ ও পশ্চিম চিকনমাটি ময়দান পাড়ার জয়নাল আবেদীন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড় রাউতা কালীবাড়ী আশ্রমের কালীমন্দিরে শনিবার রাতের আধাঁরে লাল কাগজে মোড়ানো একটি পটলা ছুড়ে মারে অভিযুক্তরা। এসময় এলাকাবাসীর কয়েকজন তা দেখতে পায়। তারা পটলাটি খুলে একটি মাংসের টুকরো পায়। ওই সময় এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। সনাতন ধর্মালম্বীরা ওই পটলায় গরুর মাংস ছিল বলে অভিযোগ করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধৃতদের থানায় নিয়ে আসে।

এব্যাপারে বড় রাউতা কালী মন্দির কমিটির সভাপতি ভূবন চন্দ্র রায় বাদী হয়ে ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করি। তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা বলে স্থানীয়রা মত দেন। আর তা প্রতিহত করতে স্থানীয় হিন্দুরা তাদেরকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের থানায় নিয়ে আসে।

ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করি। ধৃতদের ডিস্ট্রিক্ট জেলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছি এলাকায় যেন অ’প্রীতিকর কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।

হিন্দুরা গরুর মাংস মন্দিরে ছুড়ে অ’পবিত্র করার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার ও অপরাধীদের সাজা দাবি করেন।