তমলুক থানার সামনে গুরুতর আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী, ভর্তি আইসিইউতে

0
730

বঙ্গদেশ ডেস্ক: ভোটের মরশুমে ক্রমশ বেড়েই চলেছে রাজনৈতিক হিংসা। কোথাও দেওয়াল লিখন, কোথাও বা পতাকা টাঙানোকে উপলক্ষ করে অশান্তি দানা বাঁধছে। তো কোথাও আবার স্লোগানকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি বেঁধে যাচ্ছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই প্রায় এক চিত্র দেখা যাচ্ছে। গতকাল রাতে পুলিশের সামনে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী ড. হরেকৃষ্ণ বেরাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বর্তমানে তমলুক জেলা হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলার দিকে তমলুকের হাসপাতাল মোড় অবরোধ করার হুমকি দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

যদিও তৃণমূলের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, সোমবার রাতে একজন কর্মীকে মারধর করেছিল বিজেপি কর্মীরা। সেই ঘটনার অভিযোগ জানাতে তমলুক থানায় হাজির হয়েছিল দলীয় কর্মীরা। সেই সময় ওই বিজেপি প্রার্থী তাঁদের সামনে পড়ে যান। সেই সময় হঠকারিতার বশে জনরোষের শিকার হয়েছেন তিনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে এই ঘটনার জেরে তৃণমূল নেতা আতেআর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজই তাকে তমলুকের জেলা আদালতে পেশ হবে।

স্থানীয় সূত্র মারফত খবর, সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ বিজেপি প্রার্থী স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিল। সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধরে বেধড়ক মারধর করে। থানার সামনেই এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে জেলা হাসপাতালে আইসিইউতে ভরতি করা হয়। এদিন সকালে তার খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে পথ অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “প্রথম দফার নির্বাচনের পর তৃণমূল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে তাঁরা হারছে। তাই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীদের মারধর শুরু হয়েছে। সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করে মানুষকে ভয় দেখাতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব।”

এদিকে এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেছেন, “সোমবার রাতে আমাদের দলের এক কর্মীকে গাছে বেঁধে মারধর করা হয়। সেই অভিযোগ জানাতেই রাতে হাজির হয়েছিল তৃণমূল কর্মীরা। সেই সময় সামনে বিজেপি প্রার্থী এসে পড়ায় জনরোষের শিকার হয়েছেন তিনি।” তিনি আরও বলেছেন, “ নিবাচনী প্রার্থীকে মারধরের ঘটনা নিসন্দেহে দুঃখজনক। আইন আইনের পথেই চলবে। যারা অভিযুক্ত তাদের পুলিশ অবশ্যই গ্রেপ্তার করবে।”