বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য্যের উপর হামলা, ভাঙা হলো গাড়ির কাঁচ

0
456

বঙ্গদেশ ডেস্ক : বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যর উপর হামলা, মারধর করে কেড়ে নেওয়া হল মোবাইল, ভাঙল গাড়ির কাঁচ।

ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে দুষ্কৃতী হামলার শিকার রাজ্য বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য্য ।

তাঁকে মারধর করে গাড়ির কাচ ভেঙে চৌচির করে দিল দুষ্কৃতীরা। কেড়ে নেওয়া হল মোবাইল, পার্স। হামলার মুখে পড়ে থানায় আশ্রয় নেন তিনি।
এর নেপথ্যে দলের কর্মী, সমর্থকরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দায়ী করলেও, শমীক ভট্টাচার্য্য এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ ডায়মন্ড হারবার মহকুমা অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল রাজ্য বিজেপির। সেখানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বসিরহাট দক্ষিণের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য্য। জানা গিয়েছে, মোহনপুর এলাকার কাছে আচমকাই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে কয়েকজন। এরপর ভাঙচুর করা হয় গাড়ির কাচ। এমনকী গাড়িতে থাকা নেতার উপর হামলা চলে। তাঁর মোবাইল, পার্স কেড়ে নেওয়া হয়।

ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি উমেশ দাসের অভিযোগ, ”উনি কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসছিলেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে মারধর করেন, মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। এর আগেও আমাদের গাড়ির উপর হামলা চালিয়েছে ওরা। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন এসব নিয়ে নির্বিকার। এসপি ফোনই ধরছেন না।”

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ এবং ডায়মন্ড হারবার এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি উমাপদ পুরকাইত জানান, ”বিজেপির এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তৃণমূলের কোনও কর্মী, সমর্থক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। প্রচার পাওয়ার জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।” আসলে সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি নেতা, কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে। তাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আরও সুর চড়াচ্ছে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্ব। রবিবার বিজেপি কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বিজেপির অভিযোগ, দলের নেতা, কর্মীদের সুরক্ষা নেই। সেই অভিযোগের যেন বাস্তব প্রতিফলন ঘটল শমীক ভট্টাচার্য্যের উপর হামলার ঘটনায়।

বিরোধী দের ওপর হামলার ঘটনা এই রাজ্যে নতুন না। কিন্তু যেভাবে দিন দিন এই রকম ঘটনা বাড়ছে, সেখানে প্রশ্ন থেকে এই যায়। যদি বড়ো বড় নেতা মন্ত্রী রা সুরক্ষিত না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? প্রশাসনিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।