চাকরির দাবিতে মিছিলে পা, পুলিশের মারে বাবা-মেয়ে শয‍্যাশায়ী

0
1121

বঙ্গদেশ ডেস্ক : বাবা এবং মেয়ে একসঙ্গেই এসেছিলেন আন্দোলনে যোগ দিতে। প্রিয়গোপাল বিষয়ীর সামনে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে আসা মিছিলে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। এলোপাথারি লাঠি চালানো শুরু হলে ছুটোছুটি পড়ে যায়। তখনই ফুটপাথের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়েন প্রৌঢ় ভদ্রলোক এবং তার মেয়ে

রাজ্য সরকার তথা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অপশাসনের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাস্তায় নেমেছিল বিজেপি যুব মোর্চা। সেই আন্দোলনে সামিল হয়ে পুলিশের তাড়া খেয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লেন বাবা মেয়ে। পড়ে পুলিশই প্রৌঢ়কে টেনে তোলে। দৃশ্যত বিধ্বস্ত অবস্থা মেয়ের! কিন্তু তারই মধ্যে চোয়াল শক্ত করে বলেন, কাজের দাবিতে পথে নেমেছি। এই সরকারের আমলে শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের কাজের সুযোগ হচ্ছে না।
তরুণী জানান, রাজ্য সরকারি পদে নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধেই তিনি এদিন রাস্তায় নেমেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের সরকার সরকারি চাকরিতে বেপরোয়া দুর্নীতি চালাচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধেই রাস্তায় নামেন তিনি।

বিজেপির এই মিছিল যে বেআইনি সে ব্যাপারে নবান্ন গতকাল থেকেই সতর্ক করেছে। সরকারের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট এ ধরনের জমায়েতে নিষেধ করেছে। মহামারী পরিস্থিতিতে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের শর্তও লঙ্ঘন করেছে এই অভিযান। কিন্তু বিজেপির বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কদিন আগে যখন কলকাতায় মিছিল করেন তখন কেন এই প্রশ্ন তোলেনি পুলিশ? তখন আইন কানুন কি ঘুমিয়ে পড়েছিল?

এদিন বেশ কিছু দাবি নিয়ে নবান্ন অভিযান ছিল,
সরকারি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে হবে।
বেকারদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
পিএসসিতে নিয়োগ দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বয়সের ঊর্দ্ধসীমা বাড়াতে হবে।
ভাতা সংস্কৃতি বন্ধ করে বেকারদের কাজের গ্যারান্টি করতে হবে।
জায়গায় জায়গায় সিন্ডিকেট রাজ তোলাবাজি চলবে না।
মিথ্যা মামলা দিয়ে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা বন্ধ করো।
ইত্যাদি দাবি গুলি নিয়ে হয়েছিলো নবান্ন অভিযান।

নবান্ন অভিযান ঠেকাতে বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর কোথাও লাঠিপেটা করে পুলিশ, কোথাও জলকামান ব্যবহার করা হয়। কোথাও আবার কাঁদানে গ্যাসের সেল, সানসেল ব্যবহার করেছে পুলিশ। হাওড়া ব্রিজের দিক থেকে পুলিশের তাড়া খেয়ে বিজেপি কর্মীরা চলে আসেন বড়বাজারে। জমায়েত হঠাতে বড়বাজারেও লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

বিজেপি দাবি করেছে , এর আগে কোথাও পুলিশ কে এভাবে রঙিন জল ভরা জল কামান ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। কামানে রঙের সাথে কেমিকাল মেশানো ছিল বলেও দাবি উঠেছে। এই নিয়ে তদন্ত হক ,দাবি করেছেন বিজেপি যুব মোর্চার কেন্দ্রীয় সম্পাদক তেজস্বী সূর্য।

রাজ্য সরকার বারবারই দাবি করে আসছে রাজ্যে বেকারত্ব কমেছে। তবে কেনো বার বার এই ইস্যু নিয়ে সরব হচ্ছে রাজ্যের যুব সম্প্রদায়। তবে কি দাবি আর বাস্তব এ ফারাক থেকে যাচ্ছে? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।