বঙ্গদেশ ডেস্ক:- তুরস্কের টিভি চ্যানেলে হিন্দী সিরিয়ালগুলো চালানোর সময়ে ইসলামিক নিয়মের সাথে সমন্বয় রেখে হিন্দু প্রতীকগুলিকে ‘ঢেকে রাখতে’ চেষ্টা করেছেন। এই অনুষ্ঠানগুলিকে ইসলামিক শারিয়া আইনের সাথে সঙ্গতি বজায় রাখার প্রয়াসে তুর্কি সম্প্রচারকরা এখন ইসলামের নীতি লঙ্ঘনের অজুহাতে এই টিভি শোতে প্রায়শই অ-ইসলামিক প্রতীকগুলির চিত্রগুলি অস্পষ্ট করছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হিন্দু দেবদেবীরা গোটা পৃথিবীতেই সমাদৃত। হিন্দু রীতি, ভাবনা এবং জীবনবোধের প্রভাব সারা পৃথিবীতেই।
খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন হিন্দি শো তুর্কি ভাষায় ডাব করা হচ্ছে এবং গত কয়েক বছর ধরে তা সফলতার সাথে চলছে। তা চালিয়ে ভালো এডও পাচ্ছেন সম্প্রচারকারীরা। তবে, তুর্কি সম্প্রচারকরা, যাদের ভারতীয় নীতি-নৈতিকতা, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই, তারা এই অনুষ্ঠানগুলিতে ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দু ধর্মীয় চিহ্ন এবং প্রতিমাগুলির চিত্রকে বাধা দিয়ে এই হিন্দি টিভি অনুষ্ঠানগুলিকে ইসলামীকরণের চেষ্টা করছেন।
Hindi serial dubbed in Turkish language but they blurred Radha Krishna in scenes as it Hãπãm to do idol worship in !zlam..
Such a shame pese kamane k liye log Kitna gir jate hai…https://t.co/bMF66WreIz pic.twitter.com/3cXWsxjUBg— Shweta 🇮🇳 (@Savage_shree) October 16, 2020
এজাতীয় একটি ডাব করা অনুষ্ঠানের সম্প্রচারকরা হিন্দু দেবতা রাধা ও কৃষ্ণের ছবি যা হিন্দি টেলি সিরিয়ালের অংশ, সেটি তুর্কি সংস্করণে চিত্রিত করার সময়ে ‘ব্লার’ করে দিয়েছেন। কিছু মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্যুইটারে সম্প্রতি বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন।
একটি দৃশ্যে দেখা যায় যে, হিন্দু দেবতা রাধা ও কৃষ্ণের যে মূর্তিটি পারিবারিক মন্দিরে রাখা, সেটি একটি সেট-এ অভিনেতাদের পেছনে দেখা গিয়েছিল তা অস্পষ্ট করা হয়েছে। সম্ভবত মৌলবাদীদের ধর্মের অনুভূতি রক্ষায় ও ভবিষ্যতে ঝামেলা এড়াতেই এই কাজ। প্রতিমাপূজাকে ইসলামে ‘হারাম’ বলে মনে করা হয়।
এই বিশেষ দৃশ্যটি হ’ল হিন্দি টেলিসিরিয়াল ‘সাথ নিভানা সাথিয়া’, যা তুর্কি ভাষায় ডাব করা হয়েছে এবং নামকরণ করা হয়েছে ‘মাসুম’। তুরস্কের চ্যানেল কানাল ৭ দ্বারা প্রচারিত এই শোতে, হিন্দু পরিচয়ের প্রতীক যেমন দেবদেবী এবং অন্যান্য রীতিনীতিগুলি যেহেতু ইসলামের নীতি লঙ্ঘন করে, তাই তাদের সরানো হয়েছে।
শারিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর হঠকারিতায়, তুর্কি সম্প্রচারকরা হয়তো হিন্দুদের অনুভূতিগুলি বিবেচনায় নিতে ভুলে গেছেন। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে তারা অ-ইসলামিক সংস্কৃতির প্রতি নিবিড় অসহিষ্ণুতা প্রকাশ করেছেন।