অটোমোবাইল প্রযুক্তিতে বিশ্বে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে ভারত

0
561

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- ভারত বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অটোমোবাইল বাজার। ভারতে বর্তমানে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা রপ্তানি এবং ৪.৫ লক্ষ কোটি অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। অটোমোবাইল বাজারের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ভবিষ্যতে বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করির মতে, ভারত বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অটোমোবাইল বাজার। বর্তমানে ভারত ২০২০ সালের এপ্রিল-মার্চ মাসে যাত্রীবাহী যানবাহন, বাণিজ্যিক যানবাহন, থ্রি হুইলার, টু হুইলার এবং কোয়াড্রিসাইকেল সহ ২৬ মিলিয়ন যানবাহন তৈরি করেছে, যার মধ্যে ৪.৭ মিলিয়ন রপ্তানি হয়। আন্তর্জাতিক ভারী যানবাহনের ক্ষেত্রে ভারত নিজের একটি শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে কারণ এটি বিশ্বের বৃহত্তম ট্রাক্টর প্রস্তুতকারক, দ্বিতীয় বৃহত্তম বাস প্রস্তুতকারক এবং তৃতীয় বৃহত্তম ভারী ট্রাক প্রস্তুতকারক দেশ৷

যানবাহন স্ক্র্যাপিং এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য ইউনিটের উদ্বোধন করতে নয়ডায় উপস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি বলেছেন, যে সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে অটোমোবাইল বাজারের আকার দ্বিগুণ করে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।
গডকরির মতে, স্ক্র্যাপেজ নীতির জন্য ভারতে কাঁচামাল সস্তা হবে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় রপ্তানিকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলবে। ইস্পাত, তামা, অ্যালুমিনিয়াম, প্লাস্টিক ও রাবারের মতো কাঁচামালের দাম‌ও কমবে। রিসাইক্লিং আমাদের আমদানিও অনেকটাই কমিয়ে আনবে। এটি আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য অর্জনের পথে সহায়ক হবে।

আশা করা যাচ্ছে, আগামী দুই বছরের মধ্যে, ভারতে ২০০-৩০০ নতুন স্ক্র্যাপিং এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য সুবিধা পাওয়া যাবে। গড়করি বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য প্রতি জেলায় এমন ৩-৪টি কেন্দ্র গড়ে তোলা যেখানে শুধুমাত্র ২০০০০০ কর্মসংস্থানই তৈরি করবে না, বরং গাড়ি বিক্রি থেকে ৪০,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত GST (পণ্য ও পরিষেবা কর) সংগ্রহ করবে।

বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্রমবর্ধমান বিক্রয় থেকে শুরু করে মারুতি সুজুকির আধিপত্যের পতন এবং হেক্টর, টাটা এবং মাহিন্দ্রার বিক্রয় বৃদ্ধি ভারতীয় অটোমোবাইল বাজারের চাহিদা মহামারী পরবর্তী যুগে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করবে।