ভারতীয় সেনাবাহিনীতে শোকের ছায়া, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বিপিন রাওয়াত

0
561

বঙ্গদেশ ডেস্ক: তামিলনাড়ুতে ভয়াবহ সেনা চপার (Army Chopper) দুর্ঘটনায় পড়েছেন সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত (CDS Bipin Rawat)। ওই হেলিকপ্টারে তিনি ছাড়াও আরও ১৪ জন যাত্রী ছিলেন। সস্ত্রীক রাওয়াত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আরও ১২ জন।

সূত্রের খবর, ওই হেলিকপ্টারে উপস্থিত ছিলেন বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত, ব্রিগেডিয়ার এল এস লিড্ডর, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিংহ, ব্রিগেডিয়ার এলএস লিড্ডার, এনকে গুরুসেবক সিং, এনকে জিতেন্দ্র কুমার, ল্যান্সনায়েক বিবেক কুমার, ল্যান্সনায়েক বি সাই তেজা, হাবিলদার সৎপাল ও আরও কয়েকজন সেনাকর্মী। বুধবার নীলগিরি পাহাড়ের কাছাকাছি ওই চপারটি ভেঙে পড়েছে। বুধবার সুলুরের সেনা ছাউনি থেকে এমআই সিরিজের ওই চপারটি ওয়েলিংটনের সেনাঘাঁটির দিকে র‌ওনা দিয়েছিল বলে খবর। কিন্তু যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওটি ভেঙে পড়ে। স্থানীয় সেনা অফিসাররা অতিদ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে সেনা কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার জেরে ১৪ জন যাত্রীর মধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাপ্ত খবর। সেনা সূত্রে খবর, বিপিন রাওয়াতের দেহের ৮৫ শতাংশ‌ই পুড়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে ওয়েলিংটনের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর, শারীরিক অবস্থা সংকটজনক।

নিজের কর্মদক্ষতা ও উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গী কার্যকলাপ সম্পর্কে রাওয়াত যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিলেন। মণিপুরে জঙ্গী হামলার পর দিল্লির তরফে গ্রীন সিগন্যাল মিলতেই নাগা জঙ্গীদের পালটা দিতে তাঁকেই ভরসাযোগ্য মনে করেছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল দলবীর সিং সুহাগ। সেই সময় নাগাল্যাণ্ডের ছোট্ট পাহাড়ঘেরা শহর ডিমাপুরে সেনার ৩ কোরের দায়িত্বে ছিলেন রাওয়াত। তাঁর নেতৃত্বেই মায়ানমারের নাগা জঙ্গীগোষ্ঠী এনএসসিএন (খাপলাং) শিবিরে হামলার পরিকল্পনা করছিলেন ভারতীয় সেনার বিশেষ কমান্ডো বাহিনী ২১ প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্স। মণিপুর হয়ে মায়ানমারের ভিতর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঢুকে খাপলাংয়ের শিবিরে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় ফৌজ। সেই হামলার পরবর্তীতে রাতারাতি শিরোনামে উঠে আসে সাহসিকতার জন্য একর পর এক পদকজয়ী বিপিন রাওয়াতের নাম। শুধু তাইই নয়, ১৯৮৭ সালে অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে চীনা লাল ফৌজের সঙ্গে প্রবল সংঘাতের সময় সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল রাওয়াতের ব্যাটেলিয়ন।