বঙ্গদেশ ডেস্ক – ২৭ বছর পর সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে দেশে পা রাখছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার ভারতের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। দু’দেশের সম্পর্ক মজবুত করতে এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
এদিন ব্রিটিশ বিদেশ সচিব ডমিনিক রাব জানিয়েছেন, সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হওয়ার জন্য ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছিল ভারত। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হওয়া ভীষণই গর্বের বিষয়। সেই আমন্ত্রণ সাগ্রহে গ্রহণ করলেন বরিস জনসন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জি সেভেন (G7 Summit) সামিটে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ব্রিটেনের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, বরিস জনসনের এই ভারত সফর নিসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ার পর জনসনের এটাই প্রথম ভারত সফর। আবার করোনা মহামারীর পরবর্তী সময়ে তিনি প্রথম রাষ্ট্রনেতা হিসেবে ভারতে আসতে চলেছেন। ফলে দু’দেশের মধ্যে বিনিয়োগ-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
I'm pleased that PM Boris Johnson has invited PM Modi to join the UK-hosted G7 summit next year. UK PM Johnson has also accepted the very generous invitation to attend India's Republic Day celebrations in January, which is a great honour: UK Foreign Secretary Dominic Raab https://t.co/GS1YTD0FeW pic.twitter.com/VPW7JsQrnQ
— ANI (@ANI) December 15, 2020
অবশ্য বরিসকে আমন্ত্রণ জানানোর মধ্যে ওয়াকিবহাল মহল কূটনৈতিক কৌশলও খুঁজে পেয়েছেন। কিন্তু কী সেই কৌশল? ব্রেক্সিট আসন্ন। এদিকে ২০২১-র জানুয়ারিতেই আমেরিকার গদিতে বসতে চলেছেন জো বাইডেন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নিজেদের সম্পর্ককে জোরালো করে তুলতে চাইছেন দুই নেতাই,মোদী ও বোরিস।
প্রসঙ্গত, শেষবার ১৯৯৩ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জন মেজর সাধারণতন্ত্র দিবসে ভারতের অতিথি হিসেবে এদেশে এসেছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে টেলিফোনে বরিস জনসনের কথা হয়েছে। সেই সময়েই তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ভারতের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। বলাই বাহুল্য এর ফলে চীন, পাকিস্তানের কপালের ভাঁজ আরও গভীর হবে।