জোর করে উইঘুরদের মাথার চুল কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠল চীনের বিরুদ্ধে

বঙ্গদেশ ডেস্ক : আমেরিকার কাস্টম ও বর্ডার প্রটেকশন অফিসাররা ১৩ টন চুল বাজেয়াপ্ত করেছে। এই বাজেয়াপ্ত করা জিনিসের মধ্যে আছে মাথার পরচুলা ও অনান্য মানুষের চুল থেকে তৈরি দ্রব্য সামগ্রী। মার্কিন প্রশাসনের দাবী মানুষের চুল থেকে উৎপাদিত এই জিনিসপত্র উইঘুর মুসলিমদের মাথার চুল জোর করে কেটে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

আমেরিকায় যে সমস্ত জিনিস আমদানী হয় তা যে কোনরকম অমানবিক উপায়ে সংগৃহীত নয় তা নিশ্চিত করে জানাতে বলা হয় আমদানী ও রপ্তানিকারক উভয় সংস্থাকেই। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই এটা প্রমান করা অসম্ভব হয়ে পড়ে যে কোন জিনিস বলপূর্বক কাজ করিয়ে উৎপাদন করা হয়েছে!

এই সব জিনিসপত্র রপ্তানি করেছে মেক্সিন হেয়ার প্রডাক্ট কোম্পানি লিমিটেড। যার মূলশাখা জিনজিয়াং প্রদেশে। সংস্থাটিকে বলা হয়েছে এ সমস্ত চুলজাত সামগ্রী যে বলপূর্বক সংগ্রহ করা নয় তার প্রমান দেখাতে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই বাজেয়াপ্ত করার ঘটনাতেই চীনা কমিউনিষ্ট পার্টির মুখ ভালো রকম পূড়েছে। এর পর অভিযোগ প্রমান হয়ে গেলে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ হতে পারে। আগামী দিনে বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্রের কাছে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়তে হবে চীনকে।

চীনে মানবতাবিরোধী কাজ করা এই প্রথম নয়। উইঘুরদের আটকে রাখা তাদের জোর করে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ানো এসব তো ছিলোই এর সাথে চুলের ব্যবসা করার অভিযোগ সঠিক প্রমান হলে বিশ্বের কাছে চীনের অস্বস্তি বাড়বে বই কমবে না।