বঙ্গদেশ ডেস্ক:- বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর দলের ভেতরের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে।উর্দ্ধতন নেতাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন একাধিক প্রথম সারির নেতা। এরইমধ্যে বিহারে কংগ্রেসের প্রচারে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অখিলেশ প্রসাদ সিং দাবি করে বসলেন, আসন নির্বাচন ও প্রার্থী নির্বাচনে ভুল হওয়ার জন্যই কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। আগামী দিনে দল কি পদক্ষেপ নেবে তা স্থির করার জন্য তিনি প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন বলে জানান। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, কংগ্রেস ভুল আসনে ভুল প্রার্থী দিয়েছিল। আসন বেছে নেওয়ার অভাবে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। এক্ষেত্রে দল যথেষ্ট তাড়াহুড়ো করেছে বলে অভিযোগ তাঁর।
তিনি আরও বলেন, ‘ আমি বিহারে দলের ভরাডুবির দায় স্বীকার করছি। আমি নিজে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছি। আমি ওনাকে বলবো সাংগঠনিক দুর্বলতা দূর করার জন্য আমাদের কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। অখিলেশ প্রসাদ সিং-এর মতে, ‘ব্লক ও জেলা স্তরে কংগ্রেসের সংগঠনে ভীষণভাবে দুর্বলতা রয়েছে। ভোটের আগে আসন বাছাই ও সাংগঠনিক দুর্বলতা এই দুটি মুখ্য বিষয় নিয়ে বুধবার মুখ খোলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম।
একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে চিদাম্বরম বলেন, বিহারে কংগ্রেসের আরও বেশি আসনে লড়াই করা উচিত ছিল। তাঁর মতে ,বিহারের ভোট প্রমাণ করছে সি পি আই এম এল বা মীমের মত ছোট ছোট দলও গ্রাউন্ড লেভেলে সংগঠন গড়ে তুলতে সক্ষম। তাই তারা ভোটে ভালো ফল করতে পেরেছে। তাঁর কথায়, বিজেপি যতগুলি আসন পেয়েছে বিরোধীরাও ততগুলো পেতে পারত কিন্তু তার জন্য কংগ্রেসকে গ্রাউন্ড লেভেলে সংগঠন স্ট্রং করে তুলতে হবে। বিহারের ভোট সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘কংগ্রেসকে মাত্র ২৫টি আসন দেওয়া হয়েছিল। ওই আসনগুলিতে বিজেপি এবং তার শরিকরা গত কুড়ি বছরে রাজত্ব করে আসছে। কংগ্রেসের উচিত ছিল আরও বেশি আসন বেছে নেওয়া এবং ওই আসনগুলি না নেওয়া। অন্তত ৪৫ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত ছিল।’
গত সোমবার দলের আরেক শীর্ষস্থানীয় নেতা কপিল সিব্বল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এখন কংগ্রেসের সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করে তুলতে হবে। যারা অভিজ্ঞ রাজনীতিক তাদের এই কাজের গুরুদায়িত্ব নেওয়া উচিত।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন আর পিছনে তাকানোর সময় নেই। তাঁর কথায়, অবিলম্বে বেশ কিছু স্তরে কিছু কিছু কাজ অতি সত্বর করতে হবে। সাংগঠনিক কাজে আর মনোনিবেশ করতে হবে। আরও নানান স্তরে কাজ করতে হবে। এর জন্য চাই সক্রিয় ও বিচক্ষণ ব্যক্তিবর্গ যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন। সবদিক ভেবে কাজে হাত দিতে হবে।’ পরে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস কর্মীদের বুঝতে হবে আমাদের দলের অবস্থা দিন দিন দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে যাচ্ছে। এইভাবে চলতে থাকলে দলের মৃত্যু ঘন্টা বাজবে খুব বেশি দেরি নেই।’