শৌর্য চক্র পেলেন সিআরপিএফের বাঙ্গালী ডেপুটি কমান্ড্যান্ট দিলীপ মালিক

0
501

বঙ্গদেশ ডেস্ক: এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলার একঝাঁক বিশিষ্ট মানুষজনকে সম্মানে ভূষিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই তালিকায় রয়েছেন সিআরপিএফের(CRPF) বেঙ্গল সেক্টরের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট দিলীপ মালিক(Dilip Mallik)। দেশের একাধিক মাওবাদী ও জঙ্গী উপদ্রুত এলাকায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন। সেই কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে দেওয়া হয়েছে শৌর্যচক্র সম্মান(Shaurya Chakra)।

১৯৭৩ সালে হুগলি জেলার জগন্নাথপুর গ্রামে জন্ম দিলীপ মালিকের। ছোট থেকেই দেশের প্রতি তিনি নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। আঠারোবার মাওবাদীদের সঙ্গে তুমুল লড়াই করেছেন তিনি। এই পদক পাওয়ার কারণ ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই, বিহারে গয়া চক্রবান্দা ফরেস্ট ঔরঙ্গাবাদ আর ঝাড়খন্ড সীমানা এলাকায় তিন মাওবাদীকে তিনি নিহত করেছিলেন।

মাওবাদীদের সঙ্গে দফায় দফায় জঙ্গলে গুলির লড়াই হয় তাঁর । সেই কঠিন লড়াইয়ে তিনি মাওবাদীদের বিরুদ্ধে জয়ী হন। দিলীপ মালিক জানিয়েছেন, এই পদক পেয়ে তিনি ভীষণ খুশি। দেশের জন্য লড়াই করে এই পদক পেয়ে তিনি গর্ব অনুভব করছেন।কোবরা (CoBRA)ব্যাটেলিয়নে থাকাকালীন বিহারের নওয়াদা জেলায় এনকাউন্টারের মারা যায় ৪ কুখ্যাত মাওবাদী। উদ্ধার করা হয় বিপুল অস্ত্র। ওই সাফল্যের জন্য তাঁকে ২০১৯ সালে পুলিশ মেডেল দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে।দিলীপ মালিক আরও জানিয়েছেন, এর আগেও তিনি পুলিশ মেডেল ফর গ্যালেন্ট্রি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। কিষেণজী, ছত্রধর মাহাতোর সঙ্গে গুলির লড়াই থেকে শুরু করে একের পর এক মাওবাদীদের তিনি বিনাশ করেছেন। কোবরা ব্যাটেলিয়ানে থাকাকালীন একাধিক বড় বড় অভিযানের সঙ্গীও হয়েছেন তিনি। কিষেণজী এনকাউন্টারে মূল ভূমিকায় তিনি ছিলেন।

দিলীপ মালিক বলেছেন, তিনি যতদিন বাঁচবেন ততদিন লড়াই করে দেশকে রক্ষা করবেন। তিনি নিজে গ্রামে গিয়ে মাওবাদী পরিবারদের বুঝিয়েছিলেন জীবনে মূলস্রোতে ফিরে আসার জন্য। তিনি আরও বলেন, কিষেণজীর সময়কালে মাওবাদীদের যে দখল ক্ষমতা ছিল, তা এখন আর অবশিষ্ট নেই। সরকারের সঙ্গে মাওবাদীরা কখনোই জিততে পারবে না। জীবনের মূলস্রোতে তাদের ফিরে আসা উচিত। তাঁর এই সম্মানে পরিবার থেকে সহকর্মী, বন্ধু সকলে খুশি ও আনন্দিত।