ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে প্রতিটি দ্রব্যের ‘country of origin’ জানাতে নির্দেশ দিল কেন্দ্র

0
409

বঙ্গদেশ ডেস্ক : ড্রাগন বধে চেষ্টার খামতি রাখছেনা দিল্লি। লাদাখে চীনের বে-আইনি অনুপ্রবেশের পরই চীনের ৫৯ টি অ্যাপ বাতিল করে কেন্দ্র। এরপরেই দেশীয় জিনিসের বিক্রি বাড়াতে ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে জিনিসপত্রের উৎস দেশ অর্থাৎ কোন দেশে তৈরি হচ্ছে জিনিসপত্রগুলি, তা জানাতে বলার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করে সরকার।

শিল্পপ্রচার ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতর (DPIIT) এর সঙ্গে ই-কমার্স সংস্থাগুলির প্রথম বৈঠকে ই-কমার্স সংস্থাগুলি জানায় ব্যবস্থা রূপায়ন করা সম্ভব।

এর পরে, বুধবার দ্বিতীয় বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে একমাস সময়সীমা বেঁধে দেয় সরকার।পয়লা অগাস্ট থেকে সমস্ত ই-কমার্স পন্যে উৎপাদক দেশ জানানোর নির্দেশ দেয় সরকার। এর পরেই বাঁধে বিপত্তি, ই-কমার্স সংস্থাগুলি জানায় ওয়্যারহাউসে থাকা সমস্ত বস্তুর উৎপাদক দেশ এই এত কম সময়ে ওয়েবসাইটে জানানো অসম্ভব। কমপক্ষে তিনমাস সময় প্রয়োজন। সমস্ত বিক্রেতাকে ‘উৎপাদক দেশ’ ব্যাপারটা বোঝাতেই অনেক সময় লেগে যাবে।

বুধবার প্রায় তিরিশটি কোম্পানির প্রতিনিধিরা এই ভার্চুয়াল মিটিং এ যোগ দেন। সমস্ত কোম্পানির প্রতিনিধিরাই উৎপাদক দেশ ওয়েবসাইটে দেখাতে সম্মত হলেও তারা বেশ কিছুদিন সময় চেয়ে নেয়।

ফ্লিপকার্ট জানিয়েছে সমস্ত নতুন জিনিসের উৎপাদক দেশ তারা এখন থেকে দেখানো শুরু করবে কিন্তু পুরানো জিনিসের উৎপাদক দেশ জানানো খুব সমস্যার ব্যাপার। ফ্লিপকার্ট ১৫ ই অগাস্ট অব্ধি সময় চায়। আমাজন সময় চায় মাস তিনেক। সরকার চায় সমস্ত নতুন জিনিসের উৎপাদক দেশ ১ লা আগস্ট থেকে দেখানোর ব্যবস্থা করুক সংস্থাগুলি ও পুরানো জিনিসগুলির ক্ষেত্রে ১ লা অক্টোবরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করুক কোম্পানিগুলি।

এক সরকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে ই-কমার্স আইনে উৎপাদক দেশ দেখানোর কোন আইনি ব্যবস্থা নেই। কাজেই সরকার আইনি দিকটিও মেটাতে চায় খুব তাড়াতাড়ি। প্রয়োজনীয় আইন আনার ব্যবস্থাও করছে কেন্দ্রীয় সরকার’,

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যেহেতু এখনো কোন সিদ্ধান্তে আসা যায়নি, আগামী দিনে সমস্ত বিক্রিত দ্রব্যে উৎপাদক দেশ দেখানো হবে।কিন্তু সমস্ত আইন ও বাস্তব সমস্যা কাটিয়ে পরিবর্তন লাগু করতে এই বছর পেরিয়ে যাবে৷