আজানের আওয়াজে শান্তি বিঘ্নিত পড়ুয়ার! টুইটের জবাবে উচিত পদক্ষেপের আশ্বাস ইউপি পুলিশের

0
985

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- উত্তর প্রদেশে মসজিদে মাইকে জোরে আজান চালানো নিয়ে আবার‌ও একটি ঘটনা সামনে এসেছে। এবারের ঘটনা নরেন্দ্র মোদীর সংসদীয় এলাকা বারাণসীর। কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র টুইট করে কয়েকদিন আগে বারাণসী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিল। ছাত্রটি জানিয়েছিল, মসজিদের মাইকের জোর আজানে তার সমস্যা হচ্ছিল। ছাত্রের টুইটের পর পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেয়।

দিন চারেক আগে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সঙ্গীতা শ্রীবাস্তব মসজিদ থেকে মাইকে করে আজান শোনানো নিয়ে আপত্তি তুলে করে জেলাশাসক কে চিঠি লিখেছিলেন।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র করুনেশ পাণ্ডে একটি টুইট করে লিখেছে যে, সে বারাণসীর ভদৈনি এলাকায় একটি বাড়িতে সে ভাড়া থাকে। করুনেশের বক্তব্য, বাড়ির পাশেই একটি মসজিদ আছে, আর সেখান থেকে প্রতিদিন সকাল, দুপুর, বিকেল, রাতে লাউডস্পীকারে জোরে জোরে চেঁচানর ফলে তাঁর মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে।

করুনেশ ওই টুইটে লিখেছে, আমি আবেদন করছি যে, আমার এই সমস্যার সমাধানের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। করুনেশ সেই টুইটে বারাণসী পুলিশ বিভাগকে মেনশন করে। করুনেশের টুইটের জবাবে বারাণসী পুলিশ লেখে, আপনার সমস্যার সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বারাণসী পুলিশের তরফ থেকে একজন অফিসারের মোবাইল নম্বরও করুনেশকে টুইটের মাধ্যমে তাকে দেওয়া হয়।

এর আগে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঙ্গীতা শ্রীবাস্তব বাড়ির পাশে থাকা একটি মসজিদ থেকে ভোরের আজানের আওয়াজ ওনার ঘুমের ব্যাঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। উপাচার্য এলাহাবাদের জেলাশাসককে চিঠি লিখে অভিযোগ করেন যে, আজানের আওয়াজ ওনার ঘুমের ব্যাঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি নির্দেশের কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে, জেলাশাসক আদালতের নির্দেশ পালন করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।