বঙ্গদেশ ডেস্ক: বোলপুরের স্কুল নির্বাচনে নির্বাচনী আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ভোট চুরির অভিযোগের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন৷ কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসকের কাছে এবিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন৷ আগামী ২৯ এপ্রিল ভোট বীরভূমে৷ স্বভাবতই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করারও পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন৷
প্রসঙ্গত, আর পাঁচটা দিনের মতো বুধবারও বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী ড: অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়৷ ইলামবাজারের শীর্ষা অঞ্চলে ভোটের প্রচারে থাকাকালীন তিনি খবর পান বোলপুর হাইস্কুলে শিক্ষক পরিচালন সমিতির নির্বাচনে ভোট চুরি হচ্ছে খোদ প্রশাসনের কর্তাদের উপস্থিতিতেই৷
এরপরই সদলবলে ঘটনাস্থলে হাজির হন অনির্বাণবাবু৷ তাঁর অভিযোগ, ব্যালট বক্স সিল ছিল না৷ ভোট দেওয়ার জায়গায় জটলা করছিল তৃণমূলের লোকজন এবং একসঙ্গে তিনজন ভোট দিচ্ছিলেন৷ তাঁর সঙ্গীরা স্কুলের ভোটগ্রহণের এহেন অভিনব দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করেন৷ পরে সেই ফুটেজ তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালেও পোস্ট করেন অনর্বাণবাবু৷
তিনি কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগের সঙ্গে জমা দেন সংশ্লিষ্ট ফুটেজও৷ যেখানে ভোট চুরির একাধিক নমু্না সামনে এসেছে৷ সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ভিডিও ফুটেজ দেখার পরে নড়েচড়ে বসেছে কমিশন৷ ঘটনাচক্রে সেই সময় সংশ্লিষ্ট ওই স্কুলে হাজির ছিলেন মহকুমাশাসকও৷ কেন তিনি কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি সেই বিষয়েও উঠছে নানা প্রশ্নও৷
অবিলম্বে ভোট বাতিলের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহকুমা শাসককে অপসারণেরও দাবি তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী৷ কমিশন সূত্রের খবর, তদন্তে সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ অনির্বাণবাবু বলেছেন, গত ১০ বছরে বাংলার উন্নয়নের টাকা চুরি করে নিজেদের সম্পত্তি দ্বিগুণ করেছে তৃণমূল নেতারা৷ আর ভোট এলে এভাবে ভোট চুরি করে ক্ষমতার গদি ধরে রেখেছেন৷ এবারে তার পরিবর্তন ঘটবে৷ পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন তিনি৷
এরই মাঝে বৃহস্পতিবার বাড়ি বাড়ি প্রচার অভিযানে যান অনির্বাণ বাবু। এদিন ইলাম বাজার বনাঞ্চল ও বোলপুরের বনডাঙা এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার অভিযানে হাজির হন বিজেপি প্রার্থী। সবমিলিয়ে এদিন বিধানসভা এলাকার সাতটি বুথের কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।
শুরু থেকেই প্রচারে তৃণমূলের দু’বারের মন্ত্রী-বিধায়ক-প্রার্থী চন্দ্রনাথ সিংহকে তিনি যে গোল দিয়ে রেখেছেন তা মানছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।সকলেই একবাক্যে বলছেন, এলেম আছে ভদ্রলোকের। পায়ে হেঁটেই জন সংযোগের সিংহভাগ কাজ সেরে ফেলেছেন আস্ত বিধানসভা এলাকায়। অথচ আমাদের দু দু’বারের বিধায়ক এখনও বহু এলাকা চেনেই না!