বিক্ষোভের আঁচ পৌঁছে দিতে মন্দিরের লাউডস্পিকার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত আন্দোলনরত কৃষকদের !

0
525

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- ২৬ শে জানুয়ারী তথাকথিত ভণ্ড কৃষকদের ঘৃণ্য আচরণে স্তব্ধ সারা দেশ। তারপর থেকেই ইন্টারনেট বন্ধ। কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা বোধ নেই আন্দোলনকারীদের মধ্যে। অভিযোগ, তারা ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে হিন্দু মন্দির ! নিজেদের দাবিদাওয়া জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে মন্দিরগুলোতে টার্গেট করেছে হরিয়ানার আন্দোলনরত কৃষকরা। অভিযোগ উঠেছে, গ্রামের প্রত্যিটি পরিবারকে দেশবিরোধী আন্দোলনে উস্কে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন হিন্দু মন্দিরের লাউডস্পিকারের সাহায্য নিচ্ছেন তারা। ওই লাউডস্পিকারের মাধ্যমেই জ্বালাময়ী বক্তৃতা দ্বারা উত্তপ্ত করা হচ্ছে লোকজনকে। যা নিয়ে রীতিমতো ফাঁপড়ে পড়তে হয়েছে হরিয়ানার মনোহর লাল খাট্টারের সরকারকেও।

সংস্কারমুখী কৃষি আইনের প্রতিবাদে রাজধানী দিল্লির একাধিক সীমান্তে আন্দোলন চালাচ্ছেন খালিস্তানপন্থী কৃষকরা। তবে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ওই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনার প্রভাবে এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ফলত ক্ষেপে উঠেছে আন্দোলনরত কৃষকরা। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ গাজিপুর সীমান্তে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত ভিডিওতে কুমিরের কান্না কেঁদে অনেকেই পুনরায় আন্দোলনে শামিল হ‌ওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতেই জিন্দ-পাতিয়ালা হাইওয়ের খাটকার টোল প্লাজায় জিন্দ জেলার ১৭টি খাপ পঞ্চায়েত একসঙ্গে বৈঠকে বসেছে। সেখানেই ঠিক করা হয় ৩০৬টি গ্রামের জন্য পৃথক পৃথক কমিটি গঠন হবে। তারাই দায়িত্ব নিয়ে গোটা গ্রামে কৃষক আন্দোলনের খবরাখবর প্রচার করবে। এ প্রসঙ্গে জিন্দ জেলার ধাদন খাপের প্রধান নেতা আজাদ পালওয়া বলছেন, “গাজিপুর সীমান্তে প্রশাসন আন্দোলনরত কৃষকদের সরানোর অপপ্রয়াস করেছে, সেরকম ফের হলে পালটা আঘাত যাতে করা যায়, সেজন্যই এই ব্যবস্থা।”

এর পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, খাপের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে , ৩০৬টি গ্রামে বিজেপি-জেজেপি নেতা-মন্ত্রী কিংবা বিধায়ক-প্রত্যেককের সভা, কনভয় বয়কট করা হবে, প্রয়োজনে দলবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি জিন্দ জেলারই কাণ্ডেলা গ্রামে যাবে বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকায়েত। চাষীদের উদ্দেশে দীর্ঘ বক্তব্যও রাখার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গাজিপুর সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছেন শিরোমনি অকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদল। আন্দোলনকারীদের তাঁর দলের পক্ষ থেকে সমর্থনও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারকে উদ্দেশ্য করে পালটা টুইট করেছেন বর্তমান কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।