বঙ্গদেশ ডেস্ক:- দিল্লি সীমান্তে কৃষকরা নয়া কৃষি বিলের প্রতিবাদে একদিকে যেমন বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন, তেমনই অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের কৃষকরা এই আইনের স্বপক্ষে দাঁড়িয়েছেন। শুধুমাত্র এই আইনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে এমন নয়, তারা এই আইনের সুবিধাও ভোগ করতে শুরু করেছে।
হোসঙ্গাবাদ জেলায় কৃষকরা মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এই আইনের সুবিধা ভোগ করতে শুরু করেছে। যে সব সংস্থা ফসল কেনার চুক্তি করেছিল, তারা ফসলও কিনতে শুরু করেছে কৃষকদের কাছ থেকে। ধারণা করা হচ্ছে, কেন্দ্র সরকারের পেশ করা নতুন কৃষি বিলের সুবিধা প্রথম মধ্যপ্রদেশ রাজ্য পেতে শুরু করল। এই নয়া বিলের আয়ত্তায় সুযোগ সুবিধা পেতে শুরু করায় কৃষকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) এবং কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার (Narendra Singh Tomar)।
नए कृषि कानूनों से अब किसान अपने आप को सुरक्षित महसूस करने लगे हैं।
होशंगाबाद के इन किसानों की 24 घंटे के अंदर न सिर्फ सुनवाई हुई, बल्कि उन्हें न्याय भी मिला।
सुनिए किसानों ने क्या कहा ।#RealFarmersWithModi pic.twitter.com/Qw4wXTgXUd
— Narendra Singh Tomar (@nstomar) December 13, 2020
দিল্লি-ভিত্তিক ফরচুন রাইস লি কোম্পানি প্রথম থেকেই কৃষকদের এই ধান কিনতো, কিন্তু পরবর্তীতে যখন কুইন্টাল প্রতি দাম ৩ হাজার টাকায় পৌঁছে যায়, তখন তারা ধান কেনা বন্ধ করে দিয়েছিল। এমনকি ফোনও সুইচট অফ করে কৃষকদের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কোম্পানি আবার কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু করেছে। ২০২০ সালের জুন মাসে চুক্তি হলেও সংস্থা ফসল কেনা বন্ধ করে দেয়।এর ফলে গত ১০ ই ডিসেম্বর ভখেদির কৃষক রাজ প্যাটেল এবং ব্রজেশ প্যাটেল পিপারিয়ার এসডিএম-এর কোম্পানির নামে লিখিত অভিযোগ জানায়।
কৃষকদের এই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফরচুন রাইস লিমিটেডের পরিচালক অজয় ভালোটিয়া বৈঠকে হাজির হন এবং কৃষকদের থেকে পুনরায় ধান কিনতে রাজী হয়ে যান। নতুন কৃষি আইনের আওতায় কৃষকদের লিখিত অভিযোগের মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ন্যায় বিচার পায় কৃষকরা। পাশাপাশি কৃষকরা জানিয়েছেন, চুক্তিবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও কোম্পানি যদি তাদের কাছ থেকে ধান না কিনত, তাহলে তাদের অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতো।
अन्नदाता के हितों की रक्षा ही नये कृषि कानून का ध्येय है। मुझे यह बताते हुए प्रसन्नता हो रही है कि होशंगाबाद के किसानों को इस कानून के कारण 24 घंटे के भीतर न्याय मिला है।
— Shivraj Singh Chouhan (@ChouhanShivraj) December 12, 2020
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এক ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘ সরকারের পেশ করা এই নতুন কৃষি আইন প্রকৃতপক্ষেই কৃষকদের স্বার্থ মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে। এই আইনের কারণেই কৃষকরা মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে ন্যায় বিচার পেয়ে গেল। আমি অন্যান্য বিরোধী দলনেতাদের কাছে অনুরোধ করব, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে গিয়ে দয়া করে কৃষকদের স্বার্থ ক্ষুন্ন করবেন না’।