শীতলকুচি কান্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে FIR দায়ের, গ্রেফতারের দাবী বিজেপির 

0
689

বঙ্গদেশ ডেস্ক:কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি দায়ী করেছে কোচবিহার জেলা বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি সিদ্দিক আলী মিয়া। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার মন্তব্যের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করে হামলা করেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ফলে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। 

শীতলকুচিতে ৭ এপ্রিল একটি নির্বাচনী জনসভা করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে সেদিন তিনি বলেছিলেন যে, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঝামেলা করতে এলে একদল তাদেরকে ঘিরে ফেলবেন আরেক দল ভোট দিতে যাবেন।” এই বক্তব্যের বিপরীতে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল বিজেপি। গত ১০ এপ্রিল নির্বাচনের দিনে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের ন্যায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলে স্থানীয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। 

প্রায় ৩০০ দুষ্কৃতী কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরে একযোগে হামলা চালায়৷ এসময় তাদের কাছে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। একসময় তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপরে প্রাণঘাতী হামলার চেষ্টা করে। আর তখনই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিজেপির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার ঘোষণার ফলাফল হিসেবে এই ঘটনা ঘটেছে, এর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী। 

কোচবিহার বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি সিদ্দিক আলী এই ঘটনায় প্রধান উস্কানীদাতা হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছেন। তার মতে, যে চারজন মারা গিয়েছে, তার দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলে এই ঘটনার জন্ম দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাও মন্তব্য করেছেন তিনি। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই FIR করা হয়েছে স্থানীয় থানায়।