পাকিস্তানের খাইবার প্রদেশে হামলা হিন্দুদের উপর, পুলিশের সামনেই ধ্বংস মন্দির

0
1475

বঙ্গদেশ ডেস্ক – সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও থেকে প্রাপ্ত একটি স্কিনগ্র‍্যাবে দেখা যাচ্ছে, একদল উগ্র ইসলামবাদী জনতা ভিড় করছে একটি হিন্দু মন্দির ভাঙতে। প্রকৃত ঘটনাটি হল, বুধবার বিক্ষুব্ধ জনতা পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কারাক জেলায় একটি হিন্দু মন্দিরকে ভেঙে দিয়েছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, করাকের এক মুসলিম আলেম যিনি এক জঙ্গি গোষ্ঠীর সমর্থনও, তিনি স্থানীয় মুসলমানদের হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়েছিলেন এবং মন্দিরটি ভেঙে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন।

ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, হাতুড়ি, লাঠি দিয়ে মন্দিরটি ভেঙে ফেলতে স্থানীয় লোকেদের এক বিশাল সমাবেশ হয়।

ভিডিওতে সাদা ধবধবে ঘরের কোনও কোনও অংশ থেকে মন্দিরের জিনিসপত্র ফেলে দিতেও দেখা যাচ্ছে।
পাকিস্তানের মানবাধিকারকর্মী ইহতেশাম আফগান এই ঘটনাটিকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করে বলেছিলেন যে পাকিস্তান তার সংখ্যালঘুদের সাথে অত্যন্ত খারাপ আচরণ করে।

ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) -এর জাতীয় সংসদ সদস্য লাল চাঁদ মলহি এই ধ্বংসযজ্ঞটিকে “দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা” বলে অভিহিত করেছেন। ‘টাইমস অফ ইন্ডয়া’ জানিয়েছে যে শ্রী লাল, করাক জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন এবং গুন্ডাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে ও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।

“পুলিশ কর্মকর্তারা আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপরাধীদের গ্রেপ্তার করবেন।” স্থানীয় সংবাদ সূত্র থেকে জানা যায়, পুলিশ মাওলানা শরীফ নামে এক ব্যক্তিকে সনাক্ত করেছে, তবে এ পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

ইসলামবাদী আদর্শে তৈরি Council of Islamic Ideology পাকিস্তান সরকারকে জানায় যে, ইসলামী আইন সংখ্যালঘুদের নিজস্ব ধর্মীয় স্থান তৈরি করার অনুমতি দিয়েছে, তারপর ইসলামাবাদে শ্রী কৃষ্ণ মন্দির নির্মাণের অনুমতিও দেওয়া হয়। এর মাত্র পনেরো দিন পরেই পুলিশের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটায় মন্দির তৈরি করতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ হিন্দুরা। পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুরা এক অদ্ভুত অনিশ্চয়তা ও ভয়ের মধ্যে বাস করছে।