ইসলামবাদীয় নৃশংসতার বিরুদ্ধে ফ্রান্স সরব, পশ্চিমবঙ্গ কি আজও নীরব?

0
1495

 

ললিতাদিত্য

 

হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) – এর কার্টুন ছাত্রদের দেখানোর জন্য যে শিক্ষকের শিরশ্ছেদ করা হয়, রোববার মধ্য প্যারিসে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশে সেই ইতিহাসের শিক্ষক প্যাটির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ যাত্রা করেছিলেন । ১৮ বছর বয়সী চেচেন অভিবাসী মুসলিম হামলাকারীর দ্বারা খুন হন প্যাটি। একটি ক্লাসে হযরত মুহাম্মদের কার্টুন দেখানো, শুধু এটাই তার দোষ। বুধবার একটি জাতীয় শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠিত হবে। হামলার পরে রবিবারের মধ্যে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে বলে ফ্রেঞ্চ পুলিশ জানিয়েছে।

প্লেস ডি লা রেপাব্লিকের খবর অনুযায়ী বিক্ষোভকারীরা পোস্টার নিয়ে ঘোষণা করেছিলেন: হত্যা করা সহকর্মী স্যামুয়েল প্যাটির স্মৃতিতে “চিন্তায় সর্বগ্রাসীতার পক্ষে নয়” এবং “আমিও একজন শিক্ষক”।

“আপনারা আমাদের ভয় দেখাবেন না। আমরা ভয় পাই না। আপনি আমাদের ভাগ করবেন না। আমরা ফ্রান্স!” প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসেক্সকে টুইট করেছেন, যিনি ঐতিহাসিক প্রতিবাদকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন।

ক্যাসেক্সের সাথে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী জিন-মিশেল ব্লানকোয়ার, প্যারিসের মেয়র অ্যান হিদালগো এবং জুনিয়র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মার্লিন শিয়াপ্পা, তিনি বলেছিলেন যে তিনি সেখানে শিক্ষকদের, ধর্মনিরপেক্ষতার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সমর্থন দিতেই গিয়েছিলেন।

প্যারিসে প্রতিবাদ জানানোর মাঝে উপস্থিত ব্যক্তিরা আবৃত্তি করেছিল: “মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শেখানোর স্বাধীনতা।” “আমি এখানে একজন শিক্ষক হিসাবে, একজন মা হিসাবে, একজন ফরাসী নারী এবং গণতন্ত্রের অংশ হিসাবে এসেছি,” অংশগ্রহণকারী ভার্জিনি বলছিলেন মীডিয়াকে, রিপোর্ট করেছে নিউজ ১৮।

 

‘চার্লি হেব্দো’ ফিরে দেখা

“আমি স্যামুয়েল” বলে জনতার মধ্যে কয়েকজন স্লোগান দিয়েছিলেন, “আমি চার্লি” এই কান্নাই যেন প্রতিধ্বনিত করে সে। ২০১৫ সালে চার্লি হেবদো নামক ব্যঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে ও তার জন্য ইসলামিক বন্দুকবাজেরা ১২ জনকে হত্যা করেছিল। এদিন প্যাটির শিরশছেদের সময়েও জঙ্গীটি ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দিয়েই মাথা কেটে নেয়।

২০১৪ সালে চার্লি হেব্দো-র উপরে হামলা ইসলামপন্থী সহিংসতার একটি ঢেউয়ের মুখোশ প্রকাশ করেছিল জনসমক্ষে। ফ্রান্সের মত একটি ধর্মনিরপেক্ষ সমাজে ইসলামের অবস্থান সম্পর্কে জাতীয় আলোচনায় বাধ্য করেছিল। ম্যাগাজিনটির সাংবাদিকদের গণহত্যার পরে, প্রায় দেড় মিলিয়ন মানুষ মত প্রকাশের সেদিনের স্বাধীনতার সমর্থনে একই প্লেস ডি লা রেপব্লিককে সমবেত হয়।

 

পরিবর্তনের ডাক

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিবার প্রায় ৬,০০০ মানুষ পূর্ব ফ্রান্সের লিয়নে জড়ো হয়েছিল। শিক্ষক ইউনিয়নের প্রতিনিধি বার্নার্ড দেশওয়ার্তে টলাউজে বলেছেন, “এখানে প্রায় ৫০০০ জড়ো হয়েছিল বলে অনুমান করছি। পুরো শিক্ষক সম্প্রদায় এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং তার বাইরেও গোটা সমাজ সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ”

ফ্রান্সের দক্ষিণ উপকূলে নাইস শহরে জনগণ সমবেত হয়েছিল, যেখানে ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই জাতীয় ছুটির দিনে একজন ইসলামিক দুষ্কৃতি ভিড়ের মধ্যে একটি ট্রাক ঢুকিয়ে দেয়। এরফলে ট্রাকের ধাক্কায় মেরে ৮৬ জন মানুষের প্রাণ যায়।

নাইস সমাবেশে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ভ্যালেন্টাইন মুল, ১৮, বলেছেন, “সবাই আজ বিপদে পড়েছে। কিছু বিষযয়ের দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে।” অন্যান্য শহরগুলিতেও বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়েছে কোভিডকে উপেক্ষা করেই।

ইসলামবাদীয় আততায়ীর পরিচিতি

এক স্কুল ছাত্রীর বাবা শিক্ষকের বিরুদ্ধে “মানুষকে প্ররোচিত” করার জন্য একটি অনলাইন প্রচার চালু করেছিলেন এবং স্কুল থেকে বরখাস্ত করাতে চেয়েছিলেন। আঞ্জোরভের পরিবারের চার সদস্যসহ অন্যান্য গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সেই মেয়ের বাবা এবং একজন পরিচিত ইসলামিক জঙ্গি রয়েছে।

রবিবার একাদশতম ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে বিচারক সূত্র জানিয়েছে, বিষদ বিবরণ ছাড়াই। সেই ছাত্রীর বাবাই প্যাটির নাম প্রচারে আনেন এবং শিরশ্ছেদ করার ঠিক কিছুদিন আগে একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টে প্যাটির স্কুলের ঠিকানা দিয়েছিলেন, যেটিকে ফ্রেঞ্চ রাষ্ট্রপতি ইমমানুয়েল ম্যাক্রোঁ একটি ইসলামবাদী সন্ত্রাসী হামলা বলে অভিহিত করেছিলেন।

অনলাইন ক্যাম্পেইনের প্রতিক্রিয়ার সাথে আক্রমণকারীর বা বিদ্যালয়ের কোনও যোগসূত্র রয়েছে বা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করেছে কিনা তা রিকার্ড তা বলেননি।

প্যারিস স্থিত রাশিয়ান দূতাবাস জানিয়েছে যে আশ্রয়ের জন্য ছয় বছর বয়সে আনজোরভের পরিবার চেচনিয়া থেকে ফ্রান্সে এসেছিল।

আক্রমণকারী যেখানে বাস করত সেই নর্মান্ডি শহরে স্থানীয়রা তাকে তাকে বর্ণনা করে বলেছিল যে ছোট বেলায় সে অত্যন্ত দুর্দান্ত প্রকৃতির ছিল তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সে ক্রমশই ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয় ও শান্ত হয়ে উঠেছিল।

 

মসজিদ ও মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ফরাসী সরকারের পদক্ষেপ

বর্তমান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর “ইসলামপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদ” বিরোধী লড়াইয়ের ঘোষণার পরে ফ্রান্স জুড়ে অভিযান চলছে। তিনি সম্প্রতি ইসলামের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন। দ্যা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের খবর অনুযায়ী “র‍্যাডিক্যাল ইসলামের” বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে ফ্রান্সে ৭৩টি মসজিদ এবং মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানান।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যে হেরাল্ট অঞ্চলে একটি ‘সংস্থার’ মসজিদ ও স্কুলসহ এ অঞ্চলের নয়টি দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ফ্রান্স থেকে কয়েকশত বিদেশী নাগরিককে বহিষ্কারের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ফান্সে বসবাসরত ২৩১ বিদেশিকে বহিষ্কার করা হবে যাদের মধ্যে ১৮০ কারাবন্দী রয়েছেন। ডেইলি সাবাহ এই খবর জানিয়েছে।

 

প্যাটির প্রতি সম্মান জ্ঞাপন

ফরাসি সরকার মরণোত্তরভাবে ইতিহাসের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান লেজিয়ান-ডি-অঁর প্রদান করবে, যাঁকে ১৮ বছর বয়সী ইসলামবাদী নবী মোহাম্মদের কার্টুন দেখানোর জন্য শিরশ্ছেদ করেছিল। তিনি শত বাধা সত্ত্বেও নিজের কাজে ও দায়িত্বে অটল ছিলেন।

ফ্রেঞ্চ সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে প্যাটিকে তার সাহসিকতার জন্য শীর্ষ সম্মান দেওয়া হবে, প্যারিসের সোরবনে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সম্মানে একটি জনসমাগমও অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে স্বরাজ্য ম্যাগাজিন।

 

প্যারিসের মসজিদ বন্ধ করল ফ্রান্স সরকার

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা) – এর শুধুমাত্র ছবি দেখিয়ে এরুপ সহিংসতার পরে বিদ্বেষ জাগ্রত করা সমরদায়ের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউনের অংশ হিসাবে মঙ্গলবার প্যারিসের বাইরে একটি মসজিদ অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ।

রাজধানীর উত্তর-পূর্ব সীমান্তের স্বল্প আয়ের উপশহর প্যান্টিনের গ্র্যান্ড মসজিদ এই হামলার আগে তাদের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিল যা ইতিহাসের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির বিরুদ্ধে ঘৃণা সঞ্চার করেছিল।

কর্তৃপক্ষ ঘৃণ্য বার্তাগুলি ছড়িয়ে দেওয়ার, উগ্রবাদী ধর্ম প্রচারকারী এবং ফ্রান্সের জন্য অসুরক্ষিত বিদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া আদেশের নোটিশ পুলিশ মসজিদের বাইরে দেওয়ালে সেঁটে দিয়েছিল বলে জানিয়েছে ফ্রেঞ্চ পুলিশ।

 

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত ও বাঙ্গালা

এই বর্বরতা যেকোন সভ্য সমাজের কাছেই লজ্জার, স্বাভাবিকভাবেই সবার এক সুরে প্রতিবাদী হয়ে ওঠা উচিত। কিন্তু তার বদলে এক সম্প্রদায়ের মানুষ এই খুনীর হয়ে সওয়াল করছে। জী নিউজের ফেসবুক পোস্টে এসে কেউ বললেন “বেয়াদব সাংবাদিক কাকে কি সম্মান দিতে হয় আগে শিখে এস। রাসূল (সাঃ) স্পষ্ট হাদিস যে আমার নাম উচ্চারণ করলে দরুদ পরেনা অর্থাৎ (সাঃ) পরেনা সে ধ্বংস হোক।” আবার কেউ বলেন “ইসলাম শান্তির ধর্ম”, নাদিম কায়েস বলেন “কোন ধর্মের প্রতি আঘাত আনা উচিত নয়। কোন ধর্মকেই ব্যঙ্গ করা উচিত হয়নি। উনার কি দরকার ছিল মুসলিম সমাজকে কলুষিত করা। সারা পৃথিবীর মুসলমানদের নয়নের মণি কে উনি অপমান করেছেন।” ইনুল হক বলেন “আমি চিন্তা করছি মহম্মদের ছবি বা কার্টুন কি করে আঁকল?১৪০০ বছরে কেউ তাঁর ছবি মূর্তি তৈরি করতে পারেনাই। এখন কি করে পারে। এটা বিভেদ সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছুই না।” এরকম অনেক মণিমুক্তাই ছড়িয়ে রয়েছে এসব পোস্টের কমেণ্ট সেকশনে।

 

ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে আক্রমণ বাঙ্গালাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের

২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দুরে নাসিরনগরে হামলাটি হয়েছিল হিন্দুদের উপরে। ফেসবুকে তথাকথিত একটি ইসলাম বিদ্বেষী ছবি পোস্ট করার অভিযোগে নাসিরনগরে হিন্দুদের অন্তত ৫টি মন্দির ও বহু বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছিলো। আর এই ঘটনায় সামনে এসেছিলো রসরাজ নামের এক ব্যাক্তির নাম। তবে ঘটনার সূত্রপাত হামলার দুদিন আগে। নাসিরনগর থেকে বারো কিলোমিটার মতো দুরে হরিপুর নামের একটি গ্রামে এক হিন্দু যুবক রসরাজ দাস। তার নামে একটি ফেইসবুক প্রোফাইল থেকে যে ছবি প্রকাশের অভিযোগ উঠেছিলো তা সেখানকার গ্রামবাসীকে ক্ষিপ্ত করে তুলেছিল। অভিযোগ ছিল মুসলমানদের কাবা ঘরের সঙ্গে হিন্দুদের দেবতা শিবের একটি ছবি জুড়ে দিয়েছিলেন রসরাজ। স্থানীয় লোকজন সেদিনই রসরাজ দাসকে ধরে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছিলো। যদিও পরে জানা যায় পুরোটাই ছিল চক্রান্ত।

 

ফেসবুক পোস্ট ঘিরে দাঙ্গা বেঙ্গালুরুতে

বেঙ্গালুরুতে ফেসবুকের পোস্ট নিয়ে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় দলিতদের উপরে আক্রমণ করে এক বিশেষ সম্প্রদায়, শিকার হন কংগ্রেস এমএলএ এবং তার ভাইপোও। পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের ৬০ সদস্যসহ আহত হন বহু, আটক করা হয় ১১০ জনকে, ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ওই পোস্টে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিকে অসম্মান করা হয়েছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ধর্মের অনুসারী বহু মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নামে এবং বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে, খবর এনডিটিভির।

 

বাদুড়িয়া দাঙ্গা

নবী মুহাম্মদ ও কাবা শরিফ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্টের পর উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ২ জুলাই ২০১৭ তারিখে। এর জন্যে একাদশ শ্রেণীর সৌভিক সরকার নামে ১৭ বছর বয়সী ছাত্রের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল ওঠে। ছবিগুলোকে আপত্তিকর বলে মনে করে কিছু লোকে এবং সেই বাদুড়িয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাদুরিয়া, বসিরহাট এবং এর আশপাশের গ্রামে হামলা ও লুঠপাট চালায় সম্প্রদায় বিশেষের মানুষ।

প্যারিস থেকে বাঙ্গালার দূরত্বটা অনেক। মৌলবাদীদের লক্ষ্য এবং তাকে বাস্তবায়নের পদ্ধতি কিন্তু এক। লাশ পরে। জলের গাড়ি এসে রক্ত ঢুয়ে দেয়, রাস্তার ধুলো ময়লা জমা রক্ত সাফ হলেও মানবজমীনে তার স্থায়ী একটা দাগ থেকে যায়। মোমবাতি, পতাকা নিয়ে মিছিল হয়; কেউ ফেসবুকে ছবি কালো করেন। ট্যুইটারে হ্যাশটাগ চালু হয়, ক্ষোভের আগুণ ছড়িয়ে পরে। আবার কিছুদিন বাদে চাপাতি ঠিক খুঁজে নেয় তার পরবর্তী শিকার।

শেষ কোথায়? শেষ কিভাবে? করণীয়, হ্যাঁ আপনার করণীয় কি? ভাবুন। ভাবা প্র‍্যাক্টিস করুন।