আফগানিস্তনের হাতে ধরা পড়ল দশজন চীনা কমিউনিস্ট গুপ্তচর, মুখ পুড়ল জিংপিংয়ের

0
479

বঙ্গদেশ ডেস্ক– চীনের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যখন আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি ১০ সদস্যের চীনা গুপ্তচর মডিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হিন্দুস্তান টাইমস রিপোর্টে জানিয়েছে, তারা সন্ত্রাসবাদী কাজে মদত দিচ্ছিল।

গুপ্তচরবৃত্তি ও একটি সন্ত্রাসী সেল চালানোর অভিযোগে এই দশজন চীনা নাগরিককে আফগানিস্তানের জাতীয় সুরক্ষা দপ্তর বা এন.ডি.এস আটক করেছে। ব্যাপারটি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে কারণ গ্রেপ্তার হওয়া চীনা নাগরিকরা চীনের গুপ্তচর সংস্থার সাথে সরাসরি যুক্ত বলে মনে করছেন এন.ডি.এস অফিসাররা।

এনডিএস তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিনোদনমূলক ড্রাগস ও কেটামিন পাউডার উদ্ধার করেছে। এছাড়াও আটক হওয়া দশজন চীনা নাগরিকের মধ্যে দু’জন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হাক্কানী নেটওয়ার্কের সাথে যোগাযোগ রেখে চলছিল, যারা কিনা তালিবানদের হয়ে সন্ত্রাসী কাজ করে থাকে।

আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ চীনা রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন যে বেইজিং আন্তর্জাতিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করেছে ও কাবুলের আস্থার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তারা যদি নিজেদের ভুল স্বীকার করে একটি আধিকারিক ক্ষমাপ্রার্থনা করে চিঠির মাধ্যমে, তবেই এই চীনা নাগরিকদের ক্ষমা করার বিষয়ে বিবেচনা করা হবে বলে কাবুল জানিয়েছে। অন্যথায় আফগানিস্তান দেশের আদালতে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

চীনের শক্তি যত‌ই বাড়ছে, অন্য দেশের বিষয়ে মাথা গলানোর বদভ্যাসও বাড়ছে তাল মিলিয়ে। এশিয়া মহাদেশে পাকিস্তান ব্যতীত তাদের আর কোনও বন্ধুই নেই। ঋণের ফাঁদে ফেলায়, কলম্বো ইতিমধ্যেই ভারতের দিকে তার ‘এলায়েন্স শিফট’ করেছে। হাম্বানতোতা বন্দর যেভাবে ঋণের বিনিময়ে অধিগ্রহণ করেছে চীন, তা অত্যন্ত নক্কারজনক। এমতাবস্থায় শ্রীলঙ্কার পাশে ছিল ভারত।

আবার অন্যদিকে জাপানের সিনকাকু দ্বীপপুঞ্জের উপরেও চীন তার কালো দৃষ্টি ফেলেছে। এখানেও জাপানের সাথে তাদের দ্বন্দ্ব রয়েছে। ভূটানের ডোকলামে চীন নিজের অধিকার স্থাপন করতে গেলে ভূটানের সাথেও তাদের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এক্ষেত্রেও ভূটানের পাশে দাঁড়ায় ভারত, সীমান্তে মুখোমুখি হয় দুদেশের সেনাবাহিনী। সেই সীমান্ত স্থবিরতাও কাটে বহুদিন বাদে। এরপরে হঠাৎ করে চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির এক সদস্য রাশিয়ার একটি অঞ্চলকে নিজের বলে দাবী করেন। যদিও পরে ব্যাপারটিকে ছোট করে দেখানো হয় কারণ, পুতিনের সাথে পাঙ্গা নেবার দুঃসাহস চীনারাও করেনি।

কিছুদিন আগে বেইজিংয়ের একটি সার্ভারের ডেটা লীক করে দেন একদল হ্যাকার। এর সাথে সাথেই প্রকাশ পায় কিভাবে একাধিক দেশে চীন তাদের স্পাইদের নিয়োগ করেছে। আবার বিভিন্ন দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদেরও ‘রিক্রুট’ করেছে নিজেদের উদ্দেশ্য পূরণের জন্যে। এখন আবার আফগানিস্তানেও ধরা পড়ল চীন স্পাই। সব মিলিয়ে গোটা বিশ্বেই একঘরে হচ্ছে চীন তাদের সাম্রাজ্যবিস্তারকারী নীতির জন্যে।