জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিহানায় শহিদ চার ভারতীয় জওয়ান, নিহত তিন জঙ্গি

0
413

বঙ্গদেশ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে ফের জঙ্গিহানা৷ এবার ঘটনাটি ঘটে উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা জেলায়৷ সোমবারের ওই ঘটনায় ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর চার জন শহিদ হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন এসপিও, দু’জন সিআরপিএফ কনস্টেবল ও একজন সেনা জওয়ান৷ এক জন সেনা জওয়ান জখমও হয়েছেন এই হামলায়৷

এছাড়া ওই ঘটনায় মারা গিয়েছে তিনজন লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিও৷ জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন যে মৃত জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছে সাজাদ ওরফে হায়দার ওরফে রাজা৷ তাকে জম্মু ও কাশ্মীরে লস্করের শীর্ষ কমান্ডারদের মধ্যেই ধরা হয়৷

তার কাজ ছিল কাশ্মীরের যুবকদের বিপথে চালিত করে জঙ্গিগোষ্ঠীর যুক্ত করা৷ ২০১৬ সালের শীতকালে সে লস্করের দলে নাম লেখায়৷ তার পর থেকে কাশ্মীরের বহু যুবককে বিপথে চালিত করেছে সে৷ জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজির দাবি, কাশ্মীরের অন্তত ২০ জন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার জন্য৷

তারা সকলেই সাজাদের হাত ধরে জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল৷ বাকি যে দুইজন জঙ্গি নিহত হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন আনায়তুল্লা৷ সে বারামুলার পাট্টানের আন্দেরগ্রাম এলাকায় থাকত৷ আর তৃতীয়জনের নাম উসমান৷ তার বাড়ি পাকিস্তানে৷

নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে জানা গিয়েছে যে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ হামলা হয়৷ বারামুলার ক্রেরি এলাকার টিনডিম গ্রামের একটি চেক পোস্টে হামলা হয়৷ জঙ্গিদের প্রথমেই শহিদ হন এসপিও মুজাফ্ফর আহমেদ৷

জখম হন দুই সিআরপিএফ কনস্টেবল খুরশিদ খান ও লভকুশ সুদর্শন শর্মা৷ ওই দু’জন বিহারের বাসিন্দা৷ তাঁরা সিআরপিএফের ১১৯ ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁদের মৃত্যু হয়৷ ঘটনাস্থল থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা৷

কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়৷ দু’জনকে ঘটনাস্থলেই কাছেই ঘিরে ফেলা হয়৷ তারা নিরাপত্তা বাহিনীর উপর গুলি চালালে৷ পাল্টা গুলি চালায় সেনা ও পুলিশ৷ তাতেই ওই দু’জনের মৃত্যু হয়৷ পরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালানোর সময় আক্রমণ করা হয় আরও এক জঙ্গি নিহত হয়৷

এই গুলির লড়াইগুলি চলার সময় একজন সেনা জওয়ান শহিদ হন ও একজন জওয়ান আহত হন৷ তবে রাত হয়ে যাওয়ায় তল্লাশি অভিযান বন্ধ করা হয়৷ আরও একজন জঙ্গি ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে বলে সন্দেহ নিরাপত্তা বাহিনীর৷