গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি পাকিস্তানে, নিজ দেশের নাগরিকদের ফেরাতে চাইছে ফ্রান্স

0
672

বঙ্গদেশ ডেস্ক – আজ পাকিস্তানি-ফরাসী দূতাবাস সমস্ত ফরাসী নাগরিক এবং সংস্থাগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে পাকিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে, কারণ দেশে যে কোনো সময়ে গৃহযুদ্ধের সূচনা হতে পারে। তেহরিক-ই-লাব্বায়েক পাকিস্তান (টিএলপি) এর নেতৃত্বে একটি হিংস্র, ফ্রান্সবিরোধী, ইসলামবাদী বিক্ষোভের ফলে দেশের বেশ কয়েকটি অংশ প্রভাবিত হয়েছে।

“পাকিস্তানে ফরাসী স্বার্থের পরিপন্থী অবস্থার কারণে, ফরাসী নাগরিক এবং ফরাসী সংস্থাগুলিকে সাময়িকভাবে দেশ ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে” স্থানীয় দূতাবাস ফরাসী নাগরিকদের উদ্দেশ্যে এরকম একটি ইমেল করে। দূতাবাসটি আরও জানায়, “এই যাত্রা বাণিজ্যিক বিমান সংস্থার দ্বারা পরিচালিত হবে।”

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্যা ডন’কে দেওয়া এক বিবৃতিতে ফরাসী দূতাবাসের তরফ থেকে ভেরোনিক ওয়াগনার বলেছেন, “আমি নিশ্চিত করছি যে আমরা পাকিস্তানে অবস্থানরত আমাদের সকল নাগরিকের কাছে একটি সতর্কতামূলক বার্তা পাঠিয়েছি। সাম্প্রতিক বিক্ষোভের কারণে সম্ভব হলে তাদের সাময়িকভাবে দেশ ত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সুরক্ষা ব্যবস্থার অনিশ্চয়তা নাগরিকদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।”

গত বছর অক্টোবরে ৪৫ বছর বয়সী স্যামুয়েল প্যাটির শিরশ্ছেদ করার পর থেকে ফরাসী রাষ্ট্রপতি ইমমানুয়েল ম্যাক্রোঁ একটি বক্তব্য রাখেন। এরপর থেকেই পাকিস্তানে, ফ্রান্স বিরোধী মনোভাব বাড়তে শুরু করে। রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রঁ হজরত মুহাম্মদের ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের জন্য ম্যাগাজিনের মত প্রকাশের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। ফলস্বরূপ তাঁকে বিশ্বজুড়ে, বিশেষত পাকিস্তানে, মুসলমানরা আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করে তুলেছিল।

গতকালই পাকিস্তান সরকার ইসলামপন্থী দল টিএলপিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানকে হিংস্র বিক্ষোভের দিকে ঠেলে দেয় এবং জনতা পাকিস্তানের ফরাসী রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবি জানায়।

সোমবার টিএলপির নেতা সাদ রিজভিকে আটক করা হয়। পাকিস্তানে তিন দিন ব্যাপী হিংস্র বিক্ষোভের পিছনে এই ঘটনাটি অনুঘটকের কাজ করে। এর ফলে দুই পুলিশ সদস্যও মারা যান এবং ৩৭০ জন আহত হন।