প্লাস্টিক সার্জারিতে ছাগলের কান ব্যবহার করে চমক বাঙ্গালী চিকিৎসকদের

0
365

বঙ্গদেশ ডেস্ক:পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সিদ্ধার্থ জোয়ারদার জানান, অনেক সময় দুর্ঘটনায় মানুষের নাক এবং কান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ছাগলের কানের কার্টিলেজ দিয়ে প্লাস্টিক সার্জারি করা হচ্ছে।

ছাগলের দেহাংশ কাজে লাগানো হল মানুষের প্লাস্টিক সার্জারিতে। এমন অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক এবং গবেষকরা। ছাগলের কানের কার্টিলেজ ব্যবহার করে মানব শরীরে প্লাস্টিক সার্জারি করেছেন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত মোট ১৮ জনের শরীরে এই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং সকলেই সুস্থ রয়েছেন। এই অসাধ্য সাধনের ফলে উপকার পেয়েছেন বহু মানুষ।

পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সিদ্ধার্থ জোয়ারদার জানিয়েছেন, অনেক সময় দুর্ঘটনার ফলে মানুষের নাক এবং কান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ছাগলের কানের কার্টিলেজ দিয়ে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়েছে। ছাগলের কানের কার্টিলেজের প্রক্রিয়াকরণ এবং সংরক্ষণ ঠিকমতো করা হলে এটা করা সম্ভব হয়। মোট১৮ জন রোগীর ওপর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিন বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করার পর দেখা গিয়েছে সকলেই সুস্থ ও সবল রয়েছেন এবং কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।

আরজি কর হাসপাতাল সূত্রে খবর, ছাগলের কানের কার্টিলেজ বিশেষ উপায়ে শোধন করে সেল কালচার পদ্ধতিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। পরীক্ষালব্ধ এই কার্টিলেজ মানুষের শরীরে মিশতে কোনও অসুবিধা হয়নি।এগুলি সংরক্ষণ করার পর আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রূপনারায়ণ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, ছাগলের কানের কার্টিলেজের সফল প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ পদ্ধতির জন্য, ভারত সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজির তরফে বিশেষ পেটেন্ট পেয়েছেন এই চিকিত্‍সক-গবেষকরা।বাঙ্গলার চিকিৎসক গবেষকদের এই নয়া আবিষ্কারের ফলে এইরকম প্লাস্টিক সার্জারি ক্ষেত্রে খরচ অনেকটাই কম হবে।